Advertisment

২৯ হাজার কোটি টাকার কয়লা মামলায় আদানি গোষ্ঠীর পক্ষে রায় বম্বে হাইকোর্টে

ডিআরআইয়ের অভিযোগ, কিছু ক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়ার কয়লার দাম কৃত্রিমভাবে ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্তও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই কয়লা সাধারণভাবে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে ব্যবহার করা হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Adani, Coal Scam

গৌতম আদানি

বড় ধাক্কা খেল ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)। আদানি এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেডের বিরূদ্ধে মামলায় অদানিদের পক্ষে রায় দিল বম্বে হাইকোর্ট। ২০১১ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার কয়লা আমদানিতে অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণের অভিযোগের ব্যাপারে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য সিঙ্গাপুর এবং অন্যান্য দেশে ডিআরআই যে সমস্ত লেটারস রোগেটরি পাঠিয়েছিল, সেগুলি খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

Advertisment

কোনও তদন্ত চলাকালীন বিদেশি কোনও সংস্থা সম্পর্কে তথ্য পেতে আইনি সাহায্য চেয়ে সরকারি ভাবে অনুরোধ জানানোকে বলা হয় লেটার রোগেটরি।

হাইকোর্টের এই নির্দেশ আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আদানি গোষ্ঠী ছাড়াও ডিআরআই অন্তত ৪০টি সংস্থার বিরুদ্ধে এই কয়লা আমদানি সংক্রান্ত তদন্ত করছে। এর মধ্যে রয়েছে আম্বানি গোষ্ঠীর দুটি সংস্থা, দুটি এসার গোষ্ঠীর সংস্থা, এবং কয়েকটি সরকারি বিদ্যুৎ সংস্থাও। আদালতের নির্দেশের ফলে আদানি সহ অন্য সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে মামলাও থমকে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিচারপতি রঞ্জিত মোরে এবং ভারতী এইচ ডাঙরে আদানি এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেডের আনা রিট পিটিশন গ্রহণ করেন। ওই রিট পিটিশনে বলা হয়েছে, লেটার রোগেটরি ইস্যু করার আগে সংস্থাকে সে ব্যাপারে জানানো হয়নি বা তাদের কথা শোনা হয়নি। এ ছাড়াও এখনও পর্যন্ত কয়লা মামলায় আদানি সংস্থার বিরুদ্ধে ডিআরআই শুল্ক আইন ১৯৬২-র আওতায় কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

ডিআরআই এ পর্যন্ত সিঙ্গাপুর, হংকং, সুইজারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী সহ বিভিন্ন দেশে মোট ১৪টি লেটার রোগেটরি দিয়েছে।

গত বছরই বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে আম্বানি গোষ্ঠী ২০১৭ সালে তাদের বিরুদ্ধে জারি করা লেটার রোগেটরি খারিজের আবেদন জানায়। বম্বে হাইকোর্ট ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আম্বানি গোষ্ঠীকে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়। হাইকোর্টের রায়ের পরেই সুপ্রিম কোর্টে যায় ডিআরআই, বলে এর ফলে তদন্ত থেমে গিয়েছে। শীর্ষ আদালত এখন বলেছে হাইকোর্টকে এ মাসের মধ্যে মামলার সিদ্ধান্ত জানাতে।

ডিআরআইয়ের অভিযোগ, ইন্দোনেশিয়ার কয়লা সে দেশ থেকে সরাসরি ভারতে এলেও তার চালান আসে সিঙ্গাপুর, হংকং, দুবাই এবং ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডের বিভিন্ন মধ্যস্থতাকারীদের হাত ঘুরে, যাতে কৃত্রিমভাবে কয়লার দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়।

ডিআরআইয়ের আরও অভিযোগ, কিছু ক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়ার কয়লার দাম কৃত্রিমভাবে ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই কয়লা সাধারণভাবে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে ব্যবহার করা হয়। এই দামবৃদ্ধির ফলে শেষ পর্যন্ত বিদ্যুতের দামও বাড়তে থাকে, যে বাড়তি দাম যোগ হয় উপভোক্তার ইলেকট্রিক বিলে।

Read the full story in English

Adani
Advertisment