কোঝিকোড়ে ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা কি সন্ত্রাসবাদী চক্রান্ত? মহিলা-শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু! শোরগোল ফেলে দেওয়ার মত ঘটনা। চলন্ত ট্রেনে সহযাত্রীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মত মারাত্মক অভিযোগ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে ধরতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলাপ্পুজা-কান্নুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি কোঝিকোড় স্টেশন পেরনোর পর কোরাপুজা রেলওয়ে ব্রিজে পৌঁছেছিল। সে সময়ই অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি সহযাত্রীর গায়ে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। এই ঘটনায় আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। তাদের মধ্যেই রয়েছেন মহিলা ও শিশুও। রবিবার রাতে আলাপুজা-কান্নুর এক্সিকিউটিভ এক্সপ্রেস ট্রেনের এই ভয়াবহ ঘটনার সামনে আসতেই ঘটনায় ভয়াবহতায় শিউরে উঠেছেন দেশবাসী। ঘটনার পরপরই রেললাইনের ওপর থেকে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে রবিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে । কোঝিকোড় পেরিয়ে ট্রেনটি কোরাপুজা রেল সেতুতে পৌঁছালে চলন্ত ট্রেনে এক যাত্রী সহযাত্রীদের গায়ে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের মধ্যে হৈচৈ পড়ে যায়। সবাই প্রাণ বাঁচাতে এদিক ওদিক ছুটতে থাকেন। এই ঘটনায় অন্তত আটজন দগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। রেললাইন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে একজন মহিলা, এক শিশু ও এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি রয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ, আগুন দেখে সে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দেওয়ার ফলেই ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক ঘটনা। যদিও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
চলন্ত ট্রেনে সহযাত্রীদের গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশও এ ঘটনায় সন্ত্রাসবাদী হামাল্র সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেয়নি। রেল লাইন থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ব্যাগে এক বোতল পেট্রোল ও দুটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা। সহযাত্রীর গায়ে আগুন লাগানোয় অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। বিভিন্ন স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।