উপত্যকায় অশান্তি। ফের পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের সংঘর্ষ। নিকেশ ৩ জঙ্গি। গুরুতর জখম তিন পুলিশ কর্মী এবং একজন আঘা সামরিক বাহিনীর জওয়ান। শুক্রবার ভোরের এই ঘটনা শ্রীনগরের কাছে পান্থচক অঞ্চলের।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত তিন জঙ্গির মধ্যে একজন সুহেল আহমেদ। সে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য ছিল। গত ১৩ ডিসেম্বর জিওয়ানে নিরাপত্তা বাহিনীর বাস লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলা হয়েছিল। মৃত্যু হয় ৩ পুলিশ কর্মীর ও জখম হয়েছিলেন ১১ জন উর্দিধারী। সেই হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল জঙ্গি সুহেল আহমেদ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কাশ্মীরের শ্রীনগরের কাছে পান্থচক অঞ্চলে অভিযান চালায় পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা। প্রথমেই এলাকা ঘিরে ফেলে যৌথ বাহিনী। সন্দেহজনক জঙ্গি কাজ হয়, গোপন এই খবরের ভিত্তিতে একটি বাড়িতে তল্লাশিতে ঢুকতেই প্রথমে গুলি চালায় জঙ্গিরা। এতেই তিন পুলিশ কর্মী ও এক সিআরপিএফ আহত হন। পাল্টা প্রত্যাঘাত করে যৌথ বাহিনী। এতেই খতম হয় তিন জঙ্গি। এদের মধ্যে সুহেল মহম্মদ গত ১৩ ডিসেম্বর পুলিশের গাড়িতে হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল।
কাশ্মীর জোন পুলিশের টুইটে জানানো হয়েছে, নিগত জঙ্গিদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি ও বিস্ফোরক সহ নানা অপরাধমূলক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
নতুনভাবে সীমান্ত পেরিয়ে এপারে জঙ্গি প্রবেশের ঘটনা রোধ করা গেলেও উপত্যাকায় এখনও ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে জঙ্গির দল। যাদের ধরতে চলছে তল্লাশি অভিযান। বুধবার নওগাম এবং কুলগামে এনকাউন্টারে ৬ ঙ্গিকে খতম করেছিল যৌথ বাহিনী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি অভিযান শুরু করে কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনার যৌথ বাহিনী। মূলত নওগাম এবং কুলগামের বিভিন্ন এলাকায় এই তল্লাশি অভিযানগুলি চালানো হয়। নিকেশ ৬ জন জঙ্গি জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য বলে খবর। এদের মধ্যে পাকিস্তানি নাগরিকও রয়েছে।
গত রবিবার সোপিয়ান, পুলওয়ামা, অনন্তনাগ জেলায় একেরপর এক অভইযানে ৫ জঙ্গিকে খতম করা হয়। তখনই কাশ্মীর পুলিশের তরফে বলা হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গির সংখ্যা ২০০-র নীচে। এদের মধ্যে স্থানীয় রয়েছেন ১০০ জন।
Read in English