দেশের প্রতি ৪ জন প্রাপ্তবয়স্কের ৩ জনই করোনা টিকার দুটি ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। দেশের ৯৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকই করোনার টিকার প্রথম ডোজটি পেয়েছেন। অন্যদিকে, যোগ্য ৭৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক করোনা টিকার দুটি ডোজ পেয়েছেন। সম্প্রতি দেশে করোনার টিকাকরণ নিয়ে চালানো একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াই জারি। গত বছরের ১৭ জানুয়ারি থেকে দেশে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছিল। প্রথম পর্বে চিকিৎসক, নার্স-সহ সব স্বাস্থ্যকর্মী ও ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের টিকা দেওয় শুরু হয়। তারপর ধাপে ধাপে টিকাকরণের আওতায় আনা হয়েছে অন্য নাগরিকদের।
দেশজুড়ে মসৃণ গতিতেই এগোচ্ছে করোনার টিকাকরণ কর্মসূচি। চলতি মাস থেকেই দেশে শুরু হয়ে গিয়েছে ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ। একইসঙ্গে গত ১০ জানুয়ারি থেকে করোনার সতর্কতামূলক ডোজ বা বুস্টার ডোজও দেওয়াও পুরোদমে শুরু হয়ে গিযেছে। যোগ্য দেশের সিংহভাগ নাগরিকই করোনা টিকার দুটি ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, রবিবার পর্যন্ত দেশে ১৬৬ কোটি ৩ লক্ষ ৯৬ হাজার ২২৭টি করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
দেশের ৭৫ শতাংশ যোগ্য নাগরিকদের টিকার দুটি ডোজই নিয়ে ফেলাটা সার্বিকভাবেই জনস্বাস্থ্যের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের একাংশের। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশের ৫০০-র বেশি জেলায় অত্যন্ত সংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব রয়েছে। ওই জেলাগুলিতে সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের উপরে। কিন্তু ওই জেলাগুলিতে করোনার টিকাদান কর্মসূচি জোরদার গতিতে চালু থাকায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং মৃত্যুর সংখ্যা কম হয়েছে।
আরও পড়ুন- একধাক্কায় অনেকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ, একদিনে করোনায় মৃত ৯৫৯
দেশের চারটি বড় রাজ্যে টিকাকরণের হার জাতীয় গড়ের চেয়েও বেশি। গুজরাতে ৯৬ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৯৩ শতাংশ, কর্নাটকে ৯১ শতাংশ ও রাজস্থানে ৭৭ শতাংশ যোগ্য নাগরিকের ডাবল ডোজের টিকাকরণ হয়েছে। তবে আরও পাঁচটি রাজ্যের টিকাকরণের হার জাতীয় গড়ের চেয়ে কম।
তথ্য বলছে, বিহার ও অন্ধ্রপ্রদেশে ৬৫ শতাংশ নাগরিক টিকার দুটি ডোজ পেয়েছেন। উত্তর প্রদেশের যোগ্য ৬৭ শতাংশ মানুষ টিকার দুটি ডোজ পেয়েছেন। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে যোগ্য জনসংখ্যার ৬৮ শতাংশের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। তামিলনাড়ুতে ৬৯ শতাংশ নাগরিক করোনা টিকার দুটি ডোজ পেয়েছেন।
Read full story in English