মঙ্গলবার সকালে মধ্যপ্রদেশের হরদায় একটি আতসবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তে আগুন ধরে যায় গোটা কারখানায়। বিধ্বংসী এই কাণ্ডে কমপক্ষে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা প্রায় ৬০।
স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশের হরদার বৈরাগড় এলাকায় ওই কারখানায় বিস্ফোরণের ভয়াবহ আঁচ পড়েছে লাগোয়া এলাকায়। আগুনের লেলিহান শিখা পার্শ্ববর্তী এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লাগোয়া কমপক্ষে ৬০টি বাড়ি পুড়ে গেছে। কারখানায় লাগাতার বিস্ফোরণের মধ্যেও প্রশাসনের কর্মীরা এলাকার শতাধিক বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যান। আতসবাজি কারখানায় পরপর বিস্ফোরণের জেরে সেখানে থাকা বহু গাড়ি ও বাইকও পুড়ে যায়।
হরদার কালেক্টর ঋষি গর্গ বলেন, "উদ্ধারকাজ চলছে। এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৫৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে বিস্ফোরণে গুরুতর আহত রোগীদের ভোপাল ও ইন্দোরে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে”।
এদিকে, আতসবাজি কারখানায় আগুন লেগে বিস্ফোরণের পর গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। দমকলের গাড়ি ও অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছোয়। হারদা, বেতুল, খান্ডওয়া এবং নর্মদাপুরম থেকে বেশিরভাগ অ্যাম্বুলেন্স এবং দমকলের ইঞ্জিন ডাকা হয়। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট হয়নি।
অন্যদিকে, ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার পরপরই জরুরি বৈঠক ডাকেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। মন্ত্রী উদয় প্রতাপ সিং, অতিরিক্ত মুখ্য সচিব অজিত কেশরি এবং ডেপুটি জেনারেল হোম গার্ড অরবিন্দ কুমারকে হেলিকপ্টারে দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রশাসনিক কর্তারা জানিয়েছেন, ১৪ জন চিকিৎসককে হার্দায় পাঠানো হয়েছে। ২০টি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে রয়েছে। আরও ৫০টি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ভোপাল এবং ইন্দোরের মেডিক্যাল কলেজ এবং AIIMS ভোপালের বার্ন ইউনিটকে ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।