মানবিক পুলিশ। ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা যুবতীকে রক্ত দিয়ে প্রাণ বাঁচিয়ে নজির গড়লেন তিন পুলিশ কনস্টেবল। দিল্লি পুলিশের ওই তিন পুলিশকর্মী ত্রাতা হিসাবে এগিয়ে আসার জেরে সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতে পেরেছেন ওই যুবতী। এই ঘটনার জেরে ফের একবার প্রমাণিত হল, সমাজের রক্ষক পুলিশ যেমন শক্তের যম তেমনই নরমের ভক্ত।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আট মাস ধরে ধর্ষণ। কিন্তু বিয়ে না করে পালিয়ে যায় যুবক। দিল্লির ফতেপুর বেরির বাসিন্দা এই অন্তঃসত্ত্বা যুবতীর স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় ত্রাতা হিসাবে এগিয়ে এলেন দিল্লি পুলিশের তিন কনস্টেবল যোগেশ, রাহুল ও সন্দীপ। পরে হাসপাতালে সুস্থ সন্তানের জন্ম দেন ওই বছর কুড়ির যুবতী। পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন যুবতী। তিনি ও তাঁর সন্তান সুস্থ আছে।
জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের এক যুবক তাঁকে কাজ দেওয়ার নামে ফুঁসলিয়ে দিল্লিতে নিয়ে আসে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আট মাস ধরে সহবাস করে। কিন্তু কয়েক দিন পালিয়ে যায় ওই যুবক। এরপর দিল্লির ফতেপুর বেরির একটি বাড়িতে থাকা অবস্থায় শরীর খারাপ হতে শুরু করে ওই যুবতীর। অপুষ্টির জেরে শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে যায়। এদিকে, ওই যুবক ঝাড়খণ্ডে গ্রেফতার হয়। পুলিশ আশঙ্কাজনক অবস্থায় যুবতীকে দিল্লির এইমসে ভর্তি করে। চিকিৎসকরা জানান, দ্রুত তাঁকে রক্ত দিতে হবে। তখনই ওই তিন পুলিশকর্মী রক্ত দিতে এগিয়ে আসেন। তাঁদের দেওয়া রক্তে প্রাণ বাঁচে যুবতীর। এদিক, ধৃত যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন