পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন তিন বিজ্ঞানী। পরীক্ষামূলক পদ্ধতিতে পদার্থের মধ্যে থাকা ইলেকট্রনের গতিবিদ্যা ও আলো নিয়ে মৌলিক কাজের জন্য পুরস্কার প্রাপক হিসেবে তাঁদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ব়য়্যাল সুইডিশ অ্য়াকাডেমি অফ সায়েন্স-এর তরফে জানানো হয়েছে, এই তিন বিজ্ঞানী 'আলোর অ্যাটোসেকেন্ড স্পন্দন' নিয়ে নতুন দিশা দেখিয়েছেন।
তিন বিজ্ঞানী হলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির পিয়েরে আগোস্টিনি; ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অফ কোয়ান্টাম অপটিক্স এবং জার্মানির লুডভিগ ম্যাক্সিমিলিয়ান ইউনিভার্সিটির মিউনিখের ফেরেঙ্ক ক্রাউস; এবং সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটির অ্যান ল'হুইলিয়ার। মঙ্গলবার নোবেল কমিটি তাঁদের নাম ঘোষণা করেছে।
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সের সেক্রেটারি-জেনারেল হ্যান্স এলেগ্রেন মঙ্গলবার স্টকহোমে এই তিন বিজ্ঞানীর নাম পুরস্কারজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেন।
হাঙ্গেরি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী ক্যাটালিন কারিকো ও ড্রু ওয়েইসম্যান এমআরএনএ (mRNA) কোভিড -১৯ ভ্যাকসিনের বিকাশ ঘটানোর পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য ২০২৩ সালের ফিজিওলজি বা মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন। তার একদিন পরে পদার্থবিজ্ঞানের এই পুরস্কার ঘোষণা করা হল।
পুরস্কারপ্রাপ্ত তিন বিজ্ঞানীর মধ্যে গ্যাসে থাকা অণুর ওপর লেজারের আলো কী প্রভাব ফেলতে পারে, তা আবিষ্কার করেছেন পদার্থবিদ অ্যান ল'হুইলিয়ার। অ্যাগোস্টিনি ও ক্রাউস দেখিয়েছেন, গ্যাসীয় অণুর প্রভাব তুলনামূলক ছোট আলোর স্পন্দন তৈরিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গত বছর, তিন বিজ্ঞানী - অ্যালাইন অ্যাসপেক্ট, জন এফ ক্লাজার এবং অ্যান্টন জেইলিংগার - কোয়ান্টাম তথ্য বিজ্ঞানে তাদের কাজের জন্য পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।
আরও পড়ুন- ভারতে জাতশুমারি: এর ইতিহাস ঠিক কতটা জটিল? দেখে নেওয়া যাক
পুরস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে নগদ ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার ($১ মিলিয়ন/১০ লক্ষ মার্কিন ডলার)। এই পুরস্কারের স্রষ্টা সুইডিশ উদ্ভাবক আলফ্রেড নোবেল। তিনি ১৮৯৬ সালে মারা গিয়েছিলেন। তার উইল অনুযায়ী গচ্ছিত অর্থ থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।