/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/07/cats-152.jpg)
প্রেমিকের সামনেই দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণ। ভয়ঙ্কর অভিযোগ তিন কলেজছাত্রের বিরুদ্ধে। পুলিশি তৎপরতায় গ্রেফতার। জানা গিয়েছে ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে পুরাতন জেএনভি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের হকি মাঠে। এই ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি।
পুলিশ সূত্রে খবর, দলিত কিশোরী তার প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসে। রবিবার রাজস্থানের যোধপুরে তিন কলেজ ছাত্র প্রেমিকের সামনেই কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। প্রেমিকাকে মারধর করে অভিযুক্তরা। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় নাম জড়ায় এবিভিপি ছাত্র সংগঠনের।
একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার বলেছেন যে "অভিযুক্তরা ছাত্র ইউনিয়ন নির্বাচনের জন্য আরএসএসের ছাত্র শাখা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) থেকে টিকিটে দাঁড়ানো ছাত্রনেতার হয়ে প্রচার চালাচ্ছিল৷ যদিও ABVP অবশ্য বলেছে যে ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও যোগসূত্র নেই৷ অভিযুক্ত তিন কলেজছাত্রের সঙ্গে সংগঠনের যোগসূত্র অস্বীকার করেছে ABVP
পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট তার নিজ শহর যোধপুরের ঘটনা সম্পর্কে পুলিশের ডিজিপি উমেশ মিশ্রের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেছেন যে "পুলিশ যে তৎপরতার সঙ্ং অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে তা প্রশংসনীয়। তিনি বলেছেন যে তাঁর সরকার দোষীদের কঠোরতম শাস্তি দিয়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে।"
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবারই আজমির থেকে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল মেয়েটি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসে করে দুজনেই যোধপুর পৌঁছান। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অমৃতা দুহান বলেন, "পরে তারা একটি গেস্ট হাউসে উঠতে যান। কিন্তু সেখানে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। এরপর তারা দুজনেই সেখান থেকে চলে যান।"
এরপর তিন অভিযুক্ত সমন্দর সিং ভাটি, ধরমপাল সিং এবং ভট্টম সিং-য়ের সঙ্গে দেখা হয় তাদের। ডিসিপি বলেছেন যে অভিযুক্তরা কিশোরী এবং তার প্রেমিকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেএবং তাদের খাবার এবং ঠান্ডা পানীয় খেতে দেয়। এরপর সকাল ৮টা নাগাদ অভিযুক্তরা তাদের জয় নারায়ণ ব্যাস বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরানো ক্যাম্পাসের হকি গ্রাউন্ডের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে তারা প্রেমিককে মারধর করে তার সামনেই কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়। এরপর অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ তৎপর হয়ে অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করে। ডগ স্কোয়াড এবং ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (এফএসএল) দলও ঘটনাস্থলে হাজির হন। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর যোধপুরের একটি বাড়ি থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। "সমন্দর সিং JNVU-এর প্রথম বর্ষের ছাত্র। ধরমপাল সিং JNVU-এর স্নাতকোত্তর ছাত্র এবং ভট্টম সিং আজমির থেকে B.Ed করছেন।" বলেই পুলিশ জানিয়েছে।
এবিভিপি জাতীয় সম্পাদক হুশিয়ার মীনা বলেছেন যে "অভিযুক্তদের সঙ্গে সংগঠনের কোনও সম্পর্ক নেই।" তিনি দাবি করেছেন যে "এভিবিপি অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি করে। রাজস্থানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা প্রদানে কংগ্রেস সরকার ব্যর্থ।