Covid-19 in Mumbai: তিন দিনে একসঙ্গে ৩০ জন মেডিক্যাল পড়ুয়ার করোনা সংক্রমণে সিঁদুরে মেঘ দেখছে বৃহন্মুম্বই পুরসভা। কেইএম হাসপাতালের ওই ৩০ পড়ুয়ার পরিবারের দ্রুত আরটি-পিসিআর পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, ওই হাসপাতালের মোট ১১০০ জন পড়ুয়া এবং আক্রান্তদের পরিবারের আরটি-পিসিআর টেস্ট হবে।
এই প্রসঙ্গে এক পুরকর্তা বলেছেন, ‘তিন দিনে ৩০ পড়ুয়ার দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। কয়েকজনকে মারোলের কোভিড কেয়ার সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। কয়েকজনের মৃদু উপসর্গ ধরা পড়েছে। প্রত্যেকেই টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন এবং নজরদারিতে রয়েছেন।‘
যদিও একসঙ্গে এত পড়ুয়ার সংক্রমণে কিছুটা আশঙ্কা প্রকাশ করেন কেইএম হাসপাতালের সুপার। তিনি বলেন, ‘যারা সংক্রমিত প্রত্যেকেই প্রথম কিংবা দ্বিতীয় বর্ষের এমবিবিএস পড়ুয়া। ওদের বারবার সতর্ক করা হয়েছে। সচেতন হতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও কাজের ফাঁকে একসঙ্গে আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া এবং হস্টেলে রাত কাটিয়েছেন।‘
এদিকে, আবারও দেশের কোভিড-গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। পরপর দু’দিন ২০ হাজারের নীচে ছিল দৈনিক সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার সেই পরিসংখ্যান সাড়ে ২৩ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৩ হাজার ৫২৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে দেশে করোনায় মৃত্যু ৩১১ জনের। বুধবার পর্যন্ত দেশে ৮৮ কোটির বেশি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।
দেশের অন্য রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গত কয়েক মাস ধরেই কেরল ও মহারাষ্ট্রের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু কেরলেই নতুন করে করোনায় কাবু ১২ হাজার ১৬১ জন। একদিনে দক্ষিণের এই রাজ্যে করেনার বলি আরও ১৫৫।
মহারাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী দেশে করেনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ৩৯ হাজার ৯৮০। তবে ইতিমধ্যেই ৩ কোটি ৩০ লক্ষ ১৪ হাজার ৮৯৮ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ লক্ষ ৪৮ হাজার ৬২ জন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন