উপত্যকায় ফের বড়সড় সাফল্য নিরাপত্তা বাহিনীর। রাতভর গুলির লড়াইয়ে খতম চার জঙ্গি। দক্ষিণ কাশ্মীর এবং শ্রীনগরে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে এই চার জঙ্গির। সেই সঙ্গে চলতি বছর ১০০ জন সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়েছে পুলিশি অভিযানে। যার মধ্যে ৩০ জন পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি।
রবিবার রাতভর গুলির লড়াইয়ে খতম তিন লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি। দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় শনিবার রাত থেকে শুরু হয় এনকাউন্টার। গত মাসে পুলওয়ামায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে খুনে অভিযুক্ত জঙ্গি রয়েছে নিহতের মধ্যে। সেনা সূত্রে খবর বর্তমানে উপত্যকা জুড়েই জঙ্গিদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা-পুলিশের যৌথ বাহিনী। আর তাতেই মিলেছে এই সাফল্য।
যদিও সূত্রের খবর উপত্যকার বিভিন্ন প্রান্তে এখন ও পর্যন্ত প্রায় দু’শো’র কাছাকাছি জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি। গত কয়েকদিন ধরেই সেই সব জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয় নাকা তল্লাশি। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুসারে, উরি এবং কাশ্মীরের কাছে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ গত কয়েক মাস ধরেই বৃদ্ধি পেয়েছে। অমরনাথ যাত্রায় বিঘ্ন ঘটানোর লক্ষ্যে সন্ত্রাসীবাদীরা সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ চালাতে পারে এই আশঙ্কার পরই সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। আসন্ন অমরনাথ যাত্রার বিষয়ে সেনাবাহিনী ৬ টি নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ জারি করেছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুসারে বলা হয়েছে অমরনাথ যাত্রার সময় NH-44 অঞ্চলে হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা।
আরও পড়ুন: নুপুর শর্মার মন্তব্য ইস্যু: বন্ধু পেল নয়াদিল্লি, ভারতের পাশেই ইসলামিক বাংলাদেশ
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এই সব রুটে হাইটেক প্রস্তুতি নিয়েছে। সব জায়গায় চলছে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি। এদিকে গতকালের এনকাউন্টারের বিষয়ে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ টুইট করে জানিয়েছে, লস্করের সঙ্গে যুক্ত তিন জঙ্গিই গুলির লড়াইয়ে মারা গিয়েছে। তাদের নাম হল জুনেইদ শিরগোজরি, ফাজিল নাজির ভাট এবং ইরফান আহমেদ মালিক। অফিসাররা তাদের কাছ থেকে দুটি একে-৪৭ রাইফেল এবং পিস্তল ও কার্তুজ উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, জুনেইদ গত মাসে পুলওয়ামায় এক পুলিশকর্মীকে হত্যায় অভিযুক্ত ছিল। রিয়াজ আহমেদ ঠোকার নামে পুলওয়ামার ওই পুলিশকর্মীকে গত ১৩ মে খুন করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, আমাদের সহকর্মী শহিদ রিয়াজ আহমেদকে খুনে অভিযুক্ত জুনেইদ শিরগোজরি এনকাউন্টারে নিহত।
প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধেয় জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ এবং আধা সেনার যৌথ বাহিনী পুলওয়ামার দ্রাবগাম গ্রামে জঙ্গিদের গোপন ডেরার খোঁজ পায়। যৌথ বাহিনীর সদস্য গ্রামে ঢুকে পড়ে ওই আস্তানা ঘিরে ফেলে। শুরু হয় গুলির লড়াই। জঙ্গিরা নিরাপত্তা বলয় ভেঙে গুলি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। রবিবার ভোরে শেষ হয় গুলির লড়াই। তিন জঙ্গিই খতম হয় গুলির লড়াইয়ে।