এই আর্থিক বছরের শেষের দিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ হিসেবে ৩০ হাজার কোটি টাকা চাইতে পারে কেন্দ্র। ২০১৯-২০ সালের জাতীয় গড় উৎপাদনে আর্থিক ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা ৩.৩ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য এই পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে সূত্র।
এই আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ ছুঁয়েছে। গত ৬ বছরের মধ্যে এটিই সর্বনিম্ন। চাপে পড়েছে সরকার। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যদি প্রয়োজন হয় সরকার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে এই আর্থিক বছরে ২০ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা অন্তর্বর্তী ডিভিডেন্ড চাইতে পারে।
এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী বছরের গোড়ায়, এমনটাই জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। এর আগেও সরকার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছ থেকে অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ নিয়েছে। গত আর্থি বছরেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ২৮ হাজার কোটি টাকা অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ দিয়েছে।
২০১৭-১৮ সালে সরকার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ নিয়েছিল।
গত মাসেই গভর্নর শক্তিমান দাসের নেতৃত্বাধীন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সেন্ট্রাল বোর্ড ১,৭৬,০৫১ কোটি টাকা সরকারকে দেওয়ার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছিল। ২০১৮-১৯ সালের মোট ১,২৩,৪১৪ কোটি টাকা আয়েক মধ্যে ২০১৯ সালের মার্চ মাসেই সরকারকে অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ হিসেবে ২৮ হাজার কোটি টাকা দিয়ে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন বৃদ্ধির হার এবং ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ কর্মহীনতার হারের মুখে দাঁড়িয়ে বেসরকারি লগ্নিকে উৎসাহ দেবার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছে সরকার। এর মধ্যে অন্যতম কর্পোরেট করে ১০ শতাংশ ছাড়।