তিন বছরে পড়শি দেশের প্রায় ৩ হাজার সংখ্যালঘু ভারতের নাগরিক হয়েছেন: কেন্দ্র

CAA: এখনও কার্যকর হয়নি দেশব্যাপী নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ। কিন্তু গত তিন বছরে পড়শি দেশের সংখ্যালঘুদের এদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।

CAA: এখনও কার্যকর হয়নি দেশব্যাপী নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ। কিন্তু গত তিন বছরে পড়শি দেশের সংখ্যালঘুদের এদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
CAA, Citizenship, Neighbour Country

এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে সংসদকে এই উত্তর দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।

CAA: এখনও কার্যকর হয়নি দেশব্যাপী নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ। কিন্তু গত তিন বছরে পড়শি দেশের সংখ্যালঘুদের এদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকারি তথ্যে এমনটাই উল্লেখ। সংসদকে দেওয়া পরিসংখ্যানে সরকার জানিয়েছে, ২০১৮ থেকে  তিন পড়শি দেশের ৮২৪৪ জন সংখ্যালঘু ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন। তাঁদের মধ্যে ৩১১৭ জনকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় হিন্দু, শিখ, জৈন, খ্রিশ্চান ধর্মালম্বীরা আছেন।

Advertisment

এর পাশাপাশি ২০১৮ থেকে ২০২০-র মধ্যে গোটা বিশ্বের ২২৫৪ জন বিদেশী এই দেশের নাগরিক হয়েছেন। যদিও চলতি বছরের পরিসংখ্যান এখনও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হাতে আসেনি। এদিকে, রাজ্যসভার ১২ জন সাংসদ সাসপেন্ড হওয়া, পেগাসাসকাণ্ড, লখিমপুর হিংসা, আধারের সঙ্গে ভোটার কার্ড লিঙ্ক সহ নানা ইস্যুতে বিরোধীদের প্রবল বিরোধীতার মধ্যেই রাজ্যসভা ও লোকসভার অধিবেশন স্থগিত হয়ে গেল অনির্দিষ্টকালের জন্য। ২৯ নভেম্বর শুরু হওয়া এবারের অধিবেশন শেষের কথা ছিল ২৩ ডিসেম্বর। কিন্তু, একদিন আগেই গুটিয়ে গেল সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। এই সময়কালে ১৮ দিন অধিবেশন বসেছিল। এবারের অধিবেশনে কৃষি আইন প্রত্যাহার, নির্বাচনী সংস্কার সংশোধনী বিল পাস হয়েছে উভয় কক্ষে।

অধিবেশনের প্রথম দিনেই ধ্বনি ভোটে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাস হয় সংসদের উভয় কক্ষে। কেন বছরভর কৃষকদের আন্দোলন সত্ত্বেও এই আইন বাতিলে দেরি হল, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, আন্দোলনের সময় মৃত শ্রমিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ সহ নানা ইস্যুতে কেন্দ্রীয় কী অবস্থান? তা জানানোর দাবিতে সরব হয় বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাংসদরা। কিন্তু এ নিয়ে কোনও আলোচনা সংসদে হয়নি।

Advertisment

পাশাপাশি বুধবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি বলেন, ’২৪ দিন ব্যাপী চলা এই অধিবেশন ১৮ বার বসেছে। পাশ হয়েছে ১১টি গুরুত্বপূর্ণ বিল। লোকসভার ক্ষেত্রে ৮৫% সাফল্য আর রাজ্যসভার জন্য ৪৮% সাফল্য।‘ সরকার সুত্রে খবর, এই অধিবেশনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কৃষি আইন প্রত্যাহার এবং নির্বাচন বিল ২০২১ পাশ করা।

১২ জন সাংসদের সাসপেনশনের মাধ্যমে শুরু হওয়া শীতকালীন অধিবেশন প্রথম থেকে উত্তপ্ত ছিল। সাসপেনশনের প্রতিবাদে সংসদ চত্বরে চলেছে অবস্থান বিক্ষোভ। ভিতরেও সোচ্চার হয়েছিলেন বিরোধী দলের সাংসদরা। লখিমপুর-কাণ্ডে অভিযুক্তের বাবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতেও সরব ছিল বিরোধীরা। যদিও এই অধিবেশনে ঠাণ্ডা মাথায় গণতন্ত্রকে খুন করা হয়েছে। এমন অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। দলের সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের ট্যুইট, ‘সরকার অধিবেশনের প্রতিটা দিন নষ্ট করেছে। এখন সাংবাদিক বৈঠক করে ঠাণ্ডা মাথায় গণতন্ত্র হত্যার পিছনে যুক্তি দিচ্ছে। বিরোধীরা যখনই বলার সময় পেয়েছে তখনই রুল বুক থেকে সরকারপক্ষকে শিক্ষা দিয়েছে।‘

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন