জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার কয়েকঘণ্টা পর পাকিস্তানের তরফ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। পাকিস্তানের দাবি নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার রাষ্ট্র সংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত বিরোধী পদক্ষেপ করেছে।
পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভারত সরকার এককভাবে এই মর্যাদা বদল করতে পারে না। জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ এবং পাকিস্তান এ সিদ্ধান্ত কোনও দিন মেনে নেবে না। এই আন্তর্জাতিক বিতর্কিত বিষয়ের অংশীদার হওয়ায় পাকিস্তান বেআইনি এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সমস্তরকম ব্যবস্থা নেবে।"
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদাদায়ী ৩৭০ ধারা বিলোপের কথা ঘোষণা করেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ ছাড়াও জম্মু-কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেওয়া হয়েছে- একটি জম্মু-কাশ্মীর, অন্যটি লাদাখ। লাদাখে কোনও বিধানসভা থাকবে না, জম্মু কাস্মীরে বিধানসভা থাকবে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে সংসদের ও সংসদের বাইরে তুমুল হট্টগোল হয়। কংগ্রেস একে বিজেপির 'টুকরে টুকরে' পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছে, বিজেপির সঙ্গী জেডিইউ রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউট করেছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লাকে রবিবার গভীর রাতে গৃহবন্দি করা হয়। মুফতি পরে টুইট করে বলেন, আজকের দিনটি ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্ধকারতম দিন। ন্যাশনাল কনফারেন্সে নেতা ওমর আবদুল্লা বলেছেন জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হল।
শ্রীনগরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। জম্মুতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দাদের উপর অতিরিক্ত নজর রাখতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে ছাত্রদের উপরে।