৩৭৭ ধারা নিয়ে শুনানি মঙ্গলবার শেষ হল না শীর্ষ আদালতে। ২০১৩ সালে শীর্ষ আদলত রায় দিয়েছিল সমলিঙ্গের যৌনতা অবৈধ বলেই গণ্য হবে। সে রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক আবেদন শীর্ষ আদালতে জমা পড়ে। সেই সমস্ত আবেদনগুলির একযোগে শুনানি শুরু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র ছাড়া ওই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি আর এফ নরিম্যান, ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, এ এম খানউইলকর ও ইন্দু মালহোত্রা।
এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার জন্য গতকাল সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে কেন্দ্র। কেন্দ্রের কৌঁশুলি তুষার মেহতার সে আবেদন খারিজ করে দিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি চলার মধ্যে কেন্দ্রকে তাদের বক্তব্য ফাইল করার নির্দেশ দেয়।
এদিন শুনানির শুরুতেই আবেদনকারীদের হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী মুকুল রোহতগি। ১৬০ বছর আগের নৈতিকতা আজকের যুগে কতটা প্রাসঙ্গিক সে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, মুকুল রেহতগি তাঁর সওয়ালে বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা মানবাধিকারের পরিপন্থী।
ফাইল ছবি- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
শীর্ষ আদালতে যাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে শুনানিপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তাঁরা হলেন, সাংবাদিক সুনীল মেহরা, রন্ধনশিল্পী ঋতু ডালমিয়া, হোটেলিয়ার অমর নাথ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আয়েষা কাপুর, নৃত্যশিল্পী নবতেজ জৌহর। এ ছাড়া মুকুল রোহতাগি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নাজ ফাউন্ডেশনের হয়েও সওয়াল করছেন তিনি। এই ইস্যুতে প্রথম দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এই নাজ ফাউন্ডেশনই।
এদিন দ্বিতীয় পর্যায়ে আদালতে পিটিশনারদের হয়ে সওয়াল শুরু করেন প্রবীণ আইনজীবী অরবিন্দ দাতার। তিনি বলেন, নাগরিকের গোপনীয়তা নিয়ে শীর্ষ আদালত যে রায় দিয়েছে তাতে বলা হয়েছে, যৌনতা একজন নাগরিকের ব্যক্তিগত বিষয়। ৩৭৭ ধারা শীর্ষ আদালতের সেই রায়ের উপরেই আঘাত বলে সওয়াল করেন তিনি।