Tripura: দুই দিন আগেই ত্রিপুরা পুলিশ গ্রেফতার করেছে চার জন রূপান্তরকামীকে। আগরতলার এক হোটেল থেকে নৈশ পার্টি সেরে বাড়ি ফেরার পথেই এই গ্রেফতারি। যদিও পুলিশি এই পদক্ষেপ ঘিরে বিতর্ক বেড়েছে রাজ্যজুড়ে। সেই বিতর্কে আরও ইন্ধন জুগিয়েছে এলজিবিটি সংগঠনের সাম্প্রতিক অভিযোগ।
পুলিশি অমানবিকতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে সংগঠনের দাবি, ‘যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, লিঙ্গ যাচাইয়ে থানার মধ্যে তাঁদের নাকি নগ্নও করা হয়েছিল।‘ এমনকি, ভবিষ্যতে তাঁরা ‘পোশাক দূষণ’ ছড়াবে না। এই মর্মে মুচলেকা নিয়েছে থানা। সেই মুচলেকার অন্যথা হলে গ্রেফতারির হুমকি দিয়ে রেখেছে পুলিশ। এভাবেই আগরতলা প্রেস ক্লাবে সরব হয়েছিল এলজিবিটি সংগঠনের সদস্যরা।
তবে শুধু সাংবাদিক বৈঠক করে থেমে থাকছে না এই সংগঠন। অভিযুক্ত থানার বিরুদ্ধে পশ্চিম আগরতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ৩৭৭ ধারার অধীনে রূপান্তরকামীদের গোপনীয়তা এবং অধিকার রক্ষার নিশ্চয়তাকে খর্ব করা হয়েছে। এমনটাই উল্লেখ রয়েছে লিখিত অভিযোগে। এই প্রসঙ্গে সংগঠনের সদস্য এবং রূপান্তরকামী মহিলা স্নেহা গুপ্ত রায় বলেন, ‘কয়েকজন সাংবাদিকের করা সেই নিগ্রহের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে। এর জেরে সামাজিক কটূক্তির মুখে পড়তে হয়েছে সংগঠনের সদস্যদের।‘
ঠিক কী হয়েছিল? ৮ জানুয়ারির রাতের সেই অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে মোহিনী নামে এক যুবতী বলেন, ‘আমরা পেশাদার প্রসাধন শিল্পী। অন্যদের মতো আমরাও ৮ জানুয়ারি রাতে ডিজে নাইট দেখতে গিয়েছিলাম। রাত সাড়ে ১০টার কিছু পরে বাড়ি ফেরার পথে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে একজন আমাদের পথ আটকায়। সঙ্গে ছিলেন ৪ পুলিশকর্মী। প্রথমে আমাদের পোশাক দেখে কটূক্তি ওরা কটূক্তি শুরু করেন। আমাদের নিয়ে হাসি- ঠাট্টা শুরু করেন। তারপরেই রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ আমাদের পশ্চিম আগরতলা মহিলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কয়েকজন মহিলা পুলিশকর্মী এবং পুরুষ পুলিশকর্মীর উপস্থিতিতেই আমাদের নগ্ন করে তল্লাশি চলে।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে পড়তে থাকুন