ইতিমধ্যেই গবেষণায় উঠে এসেছে ওমিক্রন থেকে রক্ষা পেতে বুস্টার ডোজের কোন বিকল্প নেই। তাও ভারতের ক্ষেত্রে দেখা গেছে মোট যোগ্য জনসংখ্যার ৪২ শতাংশ বুস্টার ডোজ নিতে আগ্রহী নন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জারি করা বুলেটিন অনুসারে ৩রা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ১.২৫ কোটি যোগ্য মানুষকে ইতিমধ্যেই বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। যারা যোগ্য তাদের মধ্যে ২৯% করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারা পরবর্তী সময়ে এই ডোজ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। এবং আরও ২৯ % মানুষ করোনা সংখ্যা কিছুটা কমার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
ডেটা অ্যানালিসিস্টরা তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছেন তাঁদের মধ্যে ১৪% বুস্টার ডোজ নেবেন না এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং বাকী ২৮% আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এর কারণ হিসাবে গবেষকরা দেখেছেন কিছু জেলায় বুস্টার ডোজ নিয়ে নানান কুৎসা-অপপ্রচার চলতে থাকায় সেই সঙ্গে কিছু ভুল তথ্য মানুষকে বুস্টার ডোজ নেওয়া থেকে বিরত করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অনেক পোস্টে বলা হয়েছে বুস্টার ডোজ সুরক্ষিত নয়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ওমিক্রনে প্রভাব যেহেতু ডেল্টা অপেক্ষা তুলনামূলক কম তাই অনেকেই বুস্টার ডোজ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না। ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) সম্প্রতি জানিয়েছে কিছু হেলথ ওয়ার্কারের মধ্যেও বুস্টার ডোজ নিয়ে বেশ কিছু বিভ্রান্তি কাজ করেছে। এর মধ্যে রয়েছেন নার্স, থেরাপিস্ট, টেকনিশিয়ান এবং চিকিৎসা সেবার সাথে জড়িত অন্যান্য কর্মী। 'হর ঘর দস্তক’ প্রচারাভিযানে ভালো সাড়া পেলেও ওমিক্রন দাপট ক্রমশ বাড়তে থাকার কারণে অনেকেই টিকা কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেওয়ার ঝুঁকি নিতে চাননি বললেও সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে।
সমীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রায় ৮১ শতাংশ নাগরিক চান যে সরকার শিশুদের জন্য টিকা এবং সতর্কতা ডোজ "হর ঘর দস্তক" কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করুক। টিকা কেন্দ্রে ভিড় কমাতে সরকারের কি অবিলম্বে "হার ঘর দস্তক" কর্মসূচিতে শিশুদের জন্য এবং বয়স্কদের জন্য টিকা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত এই প্রশ্নের জবাবে ৮১ শতাংশ মতামতে জানিয়েছিলেন হ্যাঁ। ১৪ শতাংশের উত্তর ছিল না। ৫ শতাংশ মানুষ কোন মতামত জানাননি।