কর্ণাটক বনধের জের, বেঙ্গালুরু থেকে বাতিল ৪৪ বিমান। শুক্রবার কার্যত অচল হতে চলেছে ‘ভারতের সিলিকন ভ্যালি’ হিসেবে পরিচিত বেঙ্গালুরু।
প্রতিবেশি রাজ্য তামিলনাড়ুতে জল ছাড়ার প্রতিবাদে ঘোষিত কর্ণাটক বন্ধের জেরে বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪৪ টি বিমান বাতিল করা হয়েছে। বনধের কারণে, সকাল থেকেই চরম দুর্ভোগে পড়েন মানুষজন। কন্নড়পন্থী এবং কৃষক সংগঠনগুলির ডাকা 'বন্ধ'-এর পরিপ্রেক্ষিতে, শুক্রবার অর্থাৎ আজ শুক্রবার কর্ণাটকের মান্ডিয়া এবং বেঙ্গালুরু জেলায় সকাল থেকেই বন্ধ স্কুল ও কলেজ। তামিলনাড়ুতে কাবেরী জল ছাড়ার প্রতিবাদে ডাকা 'কর্নাটক বনধ' স্বাভাবিক জীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত। কর্ণাটকের দক্ষিণাঞ্চলে বন্ধের সর্বাত্মক প্রভাব পড়েছে। যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায়, বেঙ্গালুরু এবং অন্যান্য জেলায় প্রচুর সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে বিক্ষোভকারীরা
রাজ্যের অন্যান্য অংশে বনধের মিশ্র প্রভাব চোখে পড়েছে। কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিও এই বন্ধকে সমর্থন করেছে। 'কর্নাটক ফিল্ম এক্সিবিটরস অ্যাসোসিয়েশন' এই বন্ধকে সমর্থন করেছে। একই সময়ে, রাজ্য জুড়ে প্রেক্ষাগৃহে সন্ধ্যার শো বাতিল করা হয়েছে। বেঙ্গালুরুর বেশিরভাগ তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা এবং অন্যান্য সংস্থাগুলি তাদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। ‘অটো রিকশা চালক ইউনিয়ন’ এবং ‘ওলা উবার ড্রাইভার অ্যান্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’ও এই বন্ধকে সমর্থন করেছে। এই বনধে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এবং জেডিএস-এর সমর্থনও করেছে। দলের তরফে বলা হয়েছে সিদ্দারামাইয়া সরকারের উচিত আদালতের সিদ্ধান্তকে সম্মান করা। বাস্তবতা উপেক্ষা করে, রাজ্য সরকার তামিলনাড়ুর প্রতি নরম মনোভাব গ্রহণ করেছে, যার প্রভাব কর্ণাটকের কৃষকদের উপর পড়ছে।