Nagpur violence: মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেবের সমাধি নিয়ে বিতর্ক এখন আগের চেয়ে আরও তীব্র হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি শম্ভাজিনগর থেকে ঔরঙ্গজেবের সমাধি সরাতে হবে এই দাবিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দাঙ্গাবাজরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে। একাধিক যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ শান্তির আবেদন জানিয়েছেন। দিনের বেলায়, হিন্দু সংগঠনগুলি মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। সন্ধ্যায়, নাগপুরে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েকজনকে। বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে রাজ্য সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে ঔরঙ্গজেবের সমাধি যদি অপসারণ না করা হয় তবে তারা আন্দোলন শুরু করবে। এনিয়ে রাজ্যের জেলা শাসকের কার্যালয়ে ভিএইচপি এবং বজরং দলের কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। হিন্দু সংগঠনগুলির হুমকির পর, শম্ভাজিনগরে ঔরঙ্গজেবের সমাধিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আরটিআই-এর মাধ্যমে প্রকাশিত একটি তথ্য আগুনে ঘি ঢেলেছে। কমিটির দায়ের করা আরটিআই-এর জবাবে, কেন্দ্রীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ জানিয়েছে যে ২০১১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ঔরঙ্গজেবের সমাধির রক্ষণাবেক্ষণে প্রায় ৬.৫ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। এর পরে, কমিটি প্রশ্ন তোলে যে সিন্ধুদুর্গ দুর্গে অবস্থিত রাজ রাজেশ্বর মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বছরে মাত্র ৬ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হলেও সমাধির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেন এত বিশাল অর্থ ব্যয় করা হয়েছিল?
নাগপুরে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের জন্য আন্দোলন শুরু করেছে উপ-মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের দল শিবসেনা। সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ রাম গোপাল যাদব নাগপুরের ঘটনা সম্পর্কে বলেছেন যে বিজেপি এটাই চেয়েছিল এবং এটাই ঘটছে। মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যোগেশ কদম বলেছেন হিংসার আসল কারণ জানা যায়নি। এ পর্যন্ত ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন।