ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছেন যে জম্মু ও কাশ্মীরে গত ১০ দিনে সন্ত্রাসবাদ এবং অনুপ্রবেশের অন্তত পাঁচটি ঘটনা নিরাপত্তা সংস্থার কপালে ভাঁজ ফেলেছে। কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় 'প্ল্যান ডিসেম্বর' পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে।
ভারতীয় সেনা আধিকারিকরা শীতকালীন কৌশল বদলের বিষয়ে ইতিমধ্যে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছেন। শীতকালীন কৌশল ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়, যখন প্রচণ্ড ঠান্ডা থাকে এবং সেই সময় পাকিস্তানি সন্ত্রাসীরা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করে।
গত ১০ দিনে ৫টি সন্ত্রাসী ঘটনাকে ঘিরে ফের কাশ্মীরের জঙ্গি অনুপ্রবেশের মত বিষয় ফের ভাবিয়ে তুলেছে সেনাবাহিনীকে। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে পীর পাঞ্জালের দক্ষিণে রিয়াসি জেলার চাসানা এলাকায়, দ্বিতীয় ঘটনাটি রাজৌরির নারলা এলাকায় এবং তিনটি ঘটনা ঘটেছে উত্তরে, উরি ও বারামুল্লার মধ্যে, নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে । উরি সেক্টরে এবং অনন্তনাগের কাছেও ঘটে গিয়েছে জঙ্গি হামলার ঘটনা।
কর্মকর্তারা বলছেন এই ধরণের কর্মকাণ্ড থেকে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে যে শীতের শুরুর আগে জম্মু ও কাশ্মীরকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে পাকিস্তান। কিছু সময়ের জন্য কাশ্মীর অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের সংখ্যা কমেছে, তবে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই বছরের জুন পর্যন্ত তথ্য অনুসারে, ২০২০ সাল থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে নিহত মোট সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে ৫৪৯ জন স্থানীয়, আর ৮৬ জন পাকিস্তানি। এই সময়ের মধ্যে অন্তত ১৩৩ জন স্থানীয় জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছেন। একই সময়ে বিদেশী জঙ্গিদের সংখ্যা ছিল ১৭ জন।
তথ্য দেখায় যে ২০২৩ সালের মে মাসে উপত্যকায় ৩৬ জন স্থানীয় জঙ্গি এবং ৭১ জন বিদেশী জঙ্গি হাজির ছিল। একই সময়ে জম্মু অঞ্চলে সংখ্যা ছিল ১৩ জন স্থানীয় সন্ত্রাসী এবং দুইজন বিদেশী সন্ত্রাসবাদী। তাই শীত আসার আগেই কঠোর নজরদারি রাখতে হবে, যাতে সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ ঠেকানো যায়।