অশান্তি লেগেই রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। গত ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকায় তিনটি আলাদা ঘটনায় মোট পাঁচজন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, এই তিন ঘটনায় মোট ১০ জন নিরাপত্তাকর্মী জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলওয়ামার শাদিমার্গ এলাকায় সেনা ক্যাম্প লক্ষ্য করে জঙ্গিরা ২টি গ্রেনেড ছোড়ে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। গোলাগুলিতে ফিরদৌসা নামের এক স্থানীয় মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সেনা আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, উত্তর কাশ্মীরের উরি এলাকায় নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর অনুপ্রবেশ রোখে ভারতীয় সেনা। বৃহস্পতিবার সকালে বোনিয়ার জঙ্গলে জঙ্গি অনুপ্রবেশ রোখে সেনা। তখনই গুলির লড়াইয়ে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ ঘটনা প্রসঙ্গে, শ্রীনগরের এক শীর্ষ সেনা আধিকারিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে শুক্রবার জানান যে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছিল এলাকায় তল্লাশি চলছিল। তল্লাশিতেই তিনজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে ৪টি এ কে ৪৭ ও ৪টি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা।
আরও পড়ুন,Amritsar train accident: রেল লাইনের পাশে দশেরা উদযাপনের কথা জানতই না রেল কর্তৃপক্ষ
অন্যদিকে, উত্তর কাশ্মীরের বারামুলা জেলায় শুক্রবার বিকেলে পুলিশ ও সিআরপিএফের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে ২ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। এ ঘটনা প্রসঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের মুখপাত্র জানিয়েছেন যে, ক্রালহারের কাছে চেকপয়েন্টে একটি যাত্রীবাহী গাড়ি আটকানো হয়। ওই গাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় যাত্রীদের পরিচয়পত্র দেখানোর কথা বলার পরই, দুই জঙ্গির মধ্যে একজন গুলি চালায়। এরপরই দুই জঙ্গির সঙ্গে গুলির লড়াই চলে। এ ঘটনায় এক পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। এ ঘটনায় নিহত দুই জঙ্গি বিদেশি ও জইশ-এ-মহম্মদের সঙ্গে জড়িত বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন বারামুলার এসএসপি ইমতিয়াজ হুসেন। ওই গাড়ির চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় আইডি বিস্ফোরণে ৯ জন সেনাকর্মী জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, এ ঘটনার পরই সেনাকর্মীরা স্থানীয়দের বাড়িতে ঢুকে তাঁদের মারধর করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়দের একাংশ। এ ব্যাপারে পুলিশ-প্রশাসনের তরফে কোনও সাহায্য মেলেনি বলেও দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
Read the full story here in English