Patna Serial Blast: ২০১৩ পাটনা ধারাবাহিক বিস্ফোরণে চার অপরাধীর ফাঁসির সাজা। সোমবার এই রায় দিয়েছে বিশেষ এনআইএ আদালত। সে বছর পাটনার গান্ধি ময়দানে নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী সভা ছিল। সেই সময় তিনি বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। সেই সভা শুরুর কিছু আগেই এই ধারাবাহিক বিস্ফোরণ হয়েছিল। যা কেড়েছিল ছয়টি নিরীহ প্রাণ। সেই অপরাধের সাজা হিসেবে ৯ অপরাধীর মধ্যে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড দিলেন বিচারক গুরবিন্দর সিং মেহরোত্রা।
এদিনের রায় প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী লালন সিং বলেন, ‘আমরা এনআইএ-র পক্ষে সওয়াল করেছি। কঠোর সাজা হিসেবে ৪ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন বিচারপতি।‘ যে ৪ জনের ফাঁসি হয়েছে, তারা—হায়দার আলি, নোমান আনসারি, মহম্মদ মুজিবুল্লা, ইমতিয়াজ আলম।
জানা গিয়েছে, তদন্ত চলাকালীন উমর সিদ্দিকি এবং আজহারউদ্দিন কুরেশি দোষ স্বীকার করে নিয়েছিল। তাই সেই স্বীকারোক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে ওই দু’জনের মৃত্যুদণ্ড মকুব করেছেন বিচারক। তবে তাদের যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, গত মাসেই পাটনার গান্ধি ময়দানে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ মামলায় ১০ অভিযুক্তের মধ্যে ৯ জনকেই দোষী সাব্যস্ত করল বিশেষ এনআইএ আদালত। বুধবার রায়দান করে বিশেষ আদালত। ১০ জনের মধ্যে একজনকে প্রমাণাভাবে আগেই বেকসুর খালাস করা হয়েছে।
২০১৩ সালে পাটনার গান্ধি ময়দানে হুঙ্কার জনসভা করছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী। সেই সময় গান্ধি ময়দান পর পর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন ৭০ জন। সেইসময় জনসভার স্থলে ছটি বিস্ফোরণ হয় পর পর। মোদীর ভাষণমঞ্চ থেকে ১৫০ মিটার দূরে একটা বিস্ফোরণ হয়েছিল। শেষ বোমা ফাটে বেলা ১২.২৫ নাগাদ, তার ঠিক ২০ মিনিট পর মোদী এবং বিজেপির শীর্ষ নেতারা মঞ্চে ওঠেন। চারটি তাজা বোমা সভাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়।
বিহার পুলিশ সেই সময় একে সন্ত্রাসী হামলা বলে চিহ্নিত করেনি। ডিজিপি অভয়ানন্দ সেই সময় আইইডি বিস্ফোরক ব্যবহার কথা নিশ্চিত করেছিলেন। তবে ইন্টেলিজেন্স সূত্র মারফত জানা যায়, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, ডেটোনেটর্স, টাইমার ডিভাইস এবং লোহার পেরেক ব্যবহার করা বিস্ফোরকে।
এনআইএ-র ঘটনার মাস্টারমাইন্ড হায়দার আলি ওরফে ব্ল্যাক বিউটি, তৌফিক আনসারি, মজিবুল্লা এবং নুমান আনসারিকে গ্রেফতার করে ২০১৪ সালে। এনআইএ এদের মাথার দাম পাঁচ লক্ষ টাকা ঘোষণা করে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন