Lakhimpur Kheri Incident: দুঃসময় যেন পিছুই ছাড়ছে না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর। লখিমপুর-কাণ্ডে ইতিমধ্যে জেলবন্দি মন্ত্রী-পুত্র। এবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে ব্ল্যাকমেলিংয়ের অভিযোগ। এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। মন্ত্রীর দফতর থেকে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে দিল্লি পুলিশ। জানা গিয়েছে, মন্ত্রীর দফতরে ফোন করে একটি ভিডিও ফাঁসের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে এলে লখিমপুর-কাণ্ডে আরও বিপদ বাড়তে পারে মন্ত্রীর। তাই আড়াই কোটি টাকার বিনিময়ে রফা করতে হুমকি ফোন এসেছিল।
তারপরেই তড়িঘড়ি দিল্লির নর্থ অ্যাভেনিউ থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। পুলিশ তদন্তে নেমেই পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে ৪ জন নয়ডা এবং একজন দিল্লি শহরতলির বাসিন্দা। ইন্টারনেট ভয়েস কলের মাধ্যমে সেই হুমকি ফোন এসেছিল। যাতে কল লোকেশন ধরা না যায়। তাই এই ব্যবস্থা। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ।
এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের এক কর্তা বলেছেন, ‘ধৃতদের মধ্যে চারজন কলেজ পড়ুয়া আর একজন বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। লখিমপুর-কাণ্ডের খবর টিভিতে দেখেই তাঁরা এভাবে হুমকি কলের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের পথ বেছেছিলেন। ধৃতরা হলেন—কবির কুমার, অমিত শর্মা, অমিত কুমার, নিশান্ত কুমার এবং অশ্বিনী কুমার।‘
এদিকে, সদ্যসমাপ্ত শীতকালীন অধিবশনে একাধিকবার অজয় মিশ্রের পদত্যাগ চেয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর-খেরিতে কৃষকদের গাড়ি চাপা দেওয়ার মর্মান্তিক সেই ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত বলে রিপোর্ট দিয়েছে সিট। বিশেষ তদন্তকারী দলের সেই রিপোর্ট নিয়ে সংসদে সরব হয়েছিল কংগ্রেস। লখিমপুর-খেরি কাণ্ডের দায় নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আশিস মিশ্রের পদত্যাগ ও তাঁর শাস্তির দাবিতে সরব রাহুল গান্ধী।
গত ৩ অক্টোবরের উত্তর প্রদেশের লখিমপুর-খেরির ঘটনা পরিকল্পিত একটি ষড়যন্ত্র ছিল বলে কোর্টে পেশ করা রিপোর্টে দাবি করেছে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। রিপোর্টে উল্লেখ, ‘গাফিলতি বা অসতর্কতার জন্য নয়। বরং খুনের উদ্দেশ্য নিয়েই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’ উত্তর প্রদেশ পুলিশের সেই রিপোর্টকে ঢাল করেই এদিন সংসদে সরব রাহুল গান্ধী। লখিমপুর খেরির ঘটনায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী (স্বরাষ্ট্র) অজয় মিশ্রের অপসারণের দাবি জানান কংগ্রেস নেতা।
লোকসভায় রাহুল গান্ধী গত সপ্তাহে বলেন, “এই খুন নিয়ে আমাদের কথা বলতে দেওয়া উচিত। লখিমপুর খেরিতে যে ঘটনা ঘটেছিল সেখানে মন্ত্রী যুক্ত ছিলেন। সেই ঘটনা একটি ষড়যন্ত্র ছিল। যে মন্ত্রী কৃষকদের হত্যা করেছেন, তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে, তাঁর শাস্তি হওয়া উচিত।” রাহুল গান্ধীর এই বক্তব্যের পরপরই উত্তেজনা ছড়ায় সংসদে। বিরাধী দলের একাধিক সাংসদ সোচ্চার হতে থাকেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন