Advertisment

স্কুল খুলতেই করোনায় আক্রান্ত ৫৪ পড়ুয়া

সমস্ত শিক্ষার্থীদের বয়স ১৬ বছর থেকে ১৮ বছর অবধি। এরা সকলেই হস্টেলে থাকত। তবে লকডাউনের পর স্কুল শুরু হওয়ায় বাড়ি থেকে ফিরে আসে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

পড়ুয়াদের পড়াশুনোর কথা ভেবেই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হরিয়ানা সরকার। কিন্তু স্কুল খুলতেই বিপত্তি। পঠনপাঠন শুরু হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই কার্নালের সেনা বিদ্যালয়ের কমপক্ষে ৫৪ জন শিক্ষার্থী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হল। স্কুল চালু হওয়ার পরই ৩৯০ জন শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের কোভিড পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হয়। এদের মধ্যে ৫৪ জন শিক্ষার্থীদের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।

Advertisment

কার্নালের প্রধান মেডিকেল অফিসার ডাঃ যোগেশ শর্মা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, "সমস্ত শিক্ষার্থীদের বয়স ১৬ বছর থেকে ১৮ বছর অবধি। এরা সকলেই হস্টেলে থাকত। তবে লকডাউনের পর স্কুল শুরু হওয়ায় বাড়ি থেকে ফিরে আসে। স্কুলের হস্টেলটিকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত কোভিড প্রোটোকল মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"

যদিও করোনা আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল এমনটাই জানিয়েছেন ডাঃ শর্মা। তিনি বলেন, "সমস্ত শিক্ষার্থী একেবারে ঠিক আছে। তিন-চারটি বাচ্চার হালকা জ্বর হয়েছে। অন্যদিকে বাকিরা সকলেই উপসর্গহীন। আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী যারা এই ৫৪ জন শিক্ষার্থীদের সংস্পর্শে এসেছে, তাদের চিহ্নিত করার জন্য পর্যাপ্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।"

করোনা পরীক্ষার ফলাফল ইতিবাচক হওয়ার পরে, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং জেলা প্রশাসনের দলগুলি বিদ্যালয়ে পৌঁছে পুরো এলাকাটি স্যানিটাইজ করে। বিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের জন্য বন্ধ থাকবে কিনা তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

ডাঃ যোগেশ শর্মা বলেন, "এখানে কোভিড কেস প্রায় শূন্য হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আক্রান্ত হওয়ার পর ফের নতুন করে করোনার খবর সামনে এল। সবরকম সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। বিদ্যালয়ের শিশু এবং কর্মচারীদের সদস্যদের সুরক্ষার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আমি আবারও লোকেদের কাছে আবেদন করছি যে কোভিড -১৯ শেষ হয়নি। পর্যাপ্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং কোভিড -১৯ সুরক্ষা প্রোটোকল এবং সামাজিক দূরত্বের দিকনির্দেশগুলি কঠোরভাবে অনুসরণ করা উচিত। প্রত্যেককে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

coronavirus school COVID-19
Advertisment