‘রুদ্ধশ্বাস খুন’! নিখুঁত পরিকল্পনা। ফ্রিজে প্রেমিকার দেহ লুকিয়ে রেখেই অন্য মহিলাকে বিয়ে করে বন্ধুদের সঙ্গে দেদার সেলিব্রেশনে মেতেছিলেন সাহিল গেহলট। ফের একবার শিরোনামে দিল্লি! রাজধানীর বুক কাঁপিয়ে দিয়েছিল কিছুদিন আগের শ্রদ্ধা ওয়ালকরের খুনের ঘটনা। প্রেমিকের হাতে নৃশংসভাবে খুন হতে হয়েছিল তরতাজা এক তরুণীকে। খুনের পর শ্রদ্ধার দেহ খণ্ড খণ্ড করে কেটে ফ্রিজে লুকিয়ে রাখার পর জঙ্গলে ফেলে দিতে গিয়ে শেষমেশ ধরা পড়েছিল তাঁর প্রেমিক তথা অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালা। আর তার রেশ কাটতেই না কাটতেই রাজধানীর নজফগড়ের এক ধাবার ফ্রিজারে উদ্ধার হয়েছে ২৫ বছরের নিক্কি যাদবের দেহ।
গ্রেফতার করা হয়েছে ধাবার মালিক তথা নিক্কির প্রেমিক সাহিল গেহলটকে। নিজের প্রেমিকাকে ঠান্ডা মাথায় ডেটা ক্যাবেল দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে ফ্রিজের ভিতর ভরে রাখার ঘটনার মাত্র কয়েক ঘন্টা পর সামনে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। মৃত তরুণীর নাম নিক্কি যাদবের পরিবার জানিয়েছে, লিভ ইনে নাকি থাকতই না নিক্কি! পুলিশই পরিবার ও সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই গল্প ফাঁদছে।নিকির মামা প্রবীণ যাদব বলেন, নিক্কি হোস্টেলে থেকেই পড়াশুনা করতেন। তিনি লিভ-ইনে থাকতেন না। নিকির কাকা প্রবীণ যাদব আরও অভিযোগ করেছেন,পুলিশ পরিবার এবং জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করছে। অভিযুক্ত সাহিল গেহলটকে ফাঁসি দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশ দাবি করেছে সাহিল জিজ্ঞাসাবাদের সময় স্বীকার করেছেন নিক্কির সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা। এমনকি নিক্কি তাকে বিয়ের জন্য চাপও দেন। কিন্তু তার পরিবার অন্য একজনের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক করে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা গেছে যে সে তার গাড়ির ভিতরে থাকা একটি ডাটা ক্যাবল দিয়ে নিক্কিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ ফ্রিজে ভরে রাখে সাহিল। মহিলা কমিশন রিপোর্ট তলব করেছে
এই ঘটনায় দিল্লি পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। কমিশন এই বিষয়ে দিল্লি পুলিশের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে। জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মা টুইট করেছেন যে কেউ কীভাবে এত হৃদয়হীন হতে পারে? সঙ্গীকে শুধু খুনই করেননি, একই দিনে অন্য মেয়েকেও বিয়েও করেন।