'জ্ঞানবাপীকে হিন্দুদের কাছে হস্তান্তর করুন, অন্য কোথাও মসজিদ তৈরি করুন'… ASI রিপোর্ট সামনে আসতেই এমনই দাবি জানাল ভিএইচপি। ভিএইচপির কার্যকরী সভাপতি অলোক কুমার জানান, '১৯৯১ সালের ‘ধর্মীয় উপাসনাস্থল রক্ষা আইন’ মেনেও স্থানকে হিন্দু মন্দির বলে ঘোষণা করা উচিত'।
সামনে এসেছে জ্ঞানবাপী নিয়ে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (এএসআই)-এর রিপোর্ট। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, হনুমান, গণেশ এবং নন্দীর মতো হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি জ্ঞানবাপীর অন্দরে পাওয়া গিয়েছে। শুধু তাই নয়, অসম্পূর্ণ শিবলিঙ্গের অস্তিত্বও পাওয়া গিয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদের চলমান বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায়।
এরপরই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যনির্বাহী সভাপতি অলোক কুমার, জায়গাটি হিন্দুদের কাছে হস্তান্তর করার দাবি জানিয়েছেন এবং মসজিদটিকে অন্য কোথাও স্থানান্তর করার পরামর্শ দিয়েছেন। এএসআই সমীক্ষা রিপোর্টের সুনির্দিষ্ট উল্লেখ করে, ভিএইচপি নেতা বলেন, সমীক্ষা রিপোর্ট থেকে এটা পরিষ্কার যে মন্দির ভেঙে সেখানে মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল।শিবলিঙ্গের সন্ধান পাওয়াও প্রমাণ করে যে এই স্থানটি মসজিদ হতে পারে না, এটি একটি মন্দির"।
পাশাপাশি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দাবি করেছে মসজিদ চত্ত্বরে পাঈয়া শিবলিঙ্গের পূজা করার অনুমতি দেওয়া উচিত। তিনি বলেছেন, 'ভিএইচপি বিশ্বাস করে যে এই মহৎ কাজটি ভারতের দুটি প্রধান সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে'।
উল্লেখ্য, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সমীক্ষা চলাকালীন জ্ঞানভাপি মসজিদ চত্ত্বরে মোট ৫৫ টি পাথরের মূর্তি পাওয়া গিয়েছে। , যার মধ্যে ১৫টি "শিব লিঙ্গ", তিনটি "বিষ্ণু মূর্তি", তিনটি "গণেশ মূর্তি" তিনটি, "নন্দী" মূর্তি পাশাপাশি, এএসআই রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুটি "কৃষ্ণ" এবং পাঁচটি "হনুমান মূর্তিও মসজিদ চত্ত্বর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে"।
বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশেই আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া মসজিদটিতে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চালিয়েছে। এএসআই রিপোর্টটি - চারটি ভাগে আদালত হিন্দু এবং মুসলিম মামলাকারীদের কাছে কপি হস্তান্তর করার পরে বৃহস্পতিবার তা প্রকাশ করা হয়।
সমীক্ষা চলাকালীন উদ্ধার হওয়া সামগ্রী বারাণসী জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়, সেগুলি সংরক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে কৃষ্ণের ভাস্কর্যগুলির মধ্যে একটি বেলেপাথর দিয়ে তৈরি এবং এটি মধ্যযুগের শেষের দিকের। উদ্ধার হওয়া "শিব লিঙ্গ"টিও বেলেপাথর দিয়ে তৈরি।
এরপরই ভিএইচপির তরফে ইন্তেজামিয়া কমিটিকে বলা হয়েছে, ‘সত্যি’টা মেনে নিয়ে তারা যেন সম্মানের সঙ্গে জ্ঞানবাপী হিন্দু তথা কাশী বিশ্বনাথ কর্তৃপক্ষকে দিয়ে দেয়। এবং অন্য স্থানে মসজিদ বানানোর পরিকল্পনা করা হয়। যদিও এএসআইয়ের রিপোর্টকেই চূড়ান্ত বলে ধরে নিতে রাজি নয় মুসলিম পক্ষ। মুসলিম পক্ষের তরফে আইনি লড়াই এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।