মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোর মূল অভিযুক্তের বাড়ি জ্বালিয়ে দিলেন মহিলারাই। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরও এক অভিযুক্তকে। এখনও পর্যন্ত বর্বরতার ঘটনায় মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
জানা গিয়েছে পঞ্চম অভিযুক্ত-এর নাম ইয়ামলেম্বাম নুংসিথোই মেইতেই। এর আগে গ্রেফতার হওয়া চার অভিযুক্তকে ১১ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোর ঘটনায় পঞ্চম অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১ জুলাই) পর্যন্ত ৪ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯ জুলাই প্রকাশিত একটি ভিডিওতে, দুই মহিলাকে নগ্ন করে প্রকাশ্যে হাঁটাতে দেখা যায় একদল পুরুষ। এই লজ্জাজনক ঘটনার সমালোচনায় সরব হন সকলেই। দেশজুড়ে আলোড়ণ সৃষ্টি হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও কাণ্ডে মুখ খুলতে বাধ্য হন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সুপ্রিম কোর্টও এই ঘটনায় তার ক্ষোভ উগরে দেয় এবং দুঃখ প্রকাশ করে। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই ঘটনা যে সমগ্র দেশের অপমান। দোষীদের কোনভাবেই রেয়াত করা হবে না”।
এদিকে ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের দাবিও উঠতে শুরু করেছে। অসমের বিরোধী দল এই ঘটনা এবং রাজ্যে চলমান হিংসার জন্য মণিপুর সরকারকে দায়ী করেছে। AJP সভাপতি লুরিনজ্যোতি গগৈ বলেছেন, "ঘটনাটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখায় যে রাজ্যে জুড়ে অন্যায়-অনাচার চলছে এবং অবিলম্বে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। তিনি বলেন, গোয়েন্দা ব্যর্থতা, কর্মকর্তাদের যোগসাজশ, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা শুধুমাত্র মণিপুরের জনগণের জন্যই নয়, দেশের সকল নাগরিকের জন্য বেদনাদায়ক।" পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে রাজ্যে শান্তি ও স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার আবেদন জানানো হয়েছে।