দিন কয়েক আগেই জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদ, ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য্যের নামে চার্জশিট পেশ করেছে দিল্লি পুলিশ। শনিবার দিল্লির এক আদালত সে রাজ্যের পুলিশকে প্রশ্ন করেছে, আইনি সম্মতি ছাড়া চার্জশিট পেশ কীভাবে করল পুলিশ।
আদালতের পক্ষ থেকে দিল্লি পুলিশকে প্রশ্ন করা হয়, "আপনাদের কাছে আইন বিভাগের ছাড়পত্র নেই, কীভাবে চার্জশিট পেশ করলেন"? আদালতের প্রশ্নের জবাবে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ১০ দিনের মধ্যে ছাড়পত্র জোগাড় করবে পুলিশ।
জেএনইউ ছাত্র সংগঠনের নেতা কানহাইয়া কুমার সহ বাকি দুই ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলার চার্জশিট খতিয়ে দেখার জন্য ১৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছিল আদালত। চার্জশিটে বলা হয়েছে ২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে দেশদ্রোহী স্লোগান তুলে মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কানহাইয়া। সংসদ হামলার গুরুচক্রী আফজল গুরুর ফাঁসির দিনটিকে মনে রেখেই ওইদিনের মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন, আবারও শবরীমালা দর্শন না করেই ফিরতে হল রেশমাদের
দিল্লি পুলিশের চার্জশিটে কানহাইয়া, উমরদের দেশদ্রোহীতার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ছ'টি ভিডিও ফুটেজ। যেগুলির প্রতিটি জেএনইউ-এর দক্ষিণপন্থী ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র প্রাক্তন অথবা বর্তমান সদস্যদের মোবাইলে তোলা। এ ছাড়া জি নিউজের ভিডিও ফুটেজও প্রমাণ স্বরূপ আদালতকে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
প্রসঙ্গত, হায়দ্রাবাদের দলিত ছাত্র রোহিত ভেমুলার মৃত্যুর ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতেই জেএনইউ ক্যাম্পাসের সেদিনের অনুষ্ঠান ঘিরে পরিকল্পিতভাবে বিতর্ক বাঁধানো হয়েছিল, দিন দুয়েক আগে এমন বিস্ফোরক দাবি করেছেন দুই প্রাক্তন এবিভিপি সদস্য। যতীন গোরাইয়া ও প্রদীপ নরওয়াল নামে জেএনইউ-এর দুই প্রাক্তনীর আরও দাবি, একটি সংবাদ চ্যানেলের যে ভিডিওতে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান শোনা গিয়েছে, সেখানে এবিভিপি সদস্যরাই ছিলেন।
Read the full story in English