নতুন বছরে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৬। ভূমিকম্পের পর সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের পর জাপান সুনামির সতর্কতা জারি করেছে। পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকা থেকে বাসিন্দারাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এই ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয় উত্তর মধ্য জাপানে। এই ভূমিকম্পের সঙ্গে সঙ্গে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।
১ লা জানুয়ারি সকালে জাপান কেঁপে উঠল বিধ্বংসী ভূমিকম্পে। রিখটার স্কেলে যা মাত্রা ৭.৬। ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতা। সৈকত শহরগুলিতে পাঁচ মিটার উচ্চতার ঢেউ উঠতে শুরু করে দিয়েছে। তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে জাপানের বাসিন্দাদের মধ্যে। বহুতল আবাসনগুলিতে থেকে রাস্তায় নেমে এসেছেন আতঙ্কিত বাসিন্দারা।
জাপানের সরকারি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, জোরালো কম্পন অনুভূত হয়েছে রাজধানী শহর টোকিওতেও। জাপানের আবহাওয়া বিভাগের তরফে সতর্কতা জারি করা হয়েছে, পশ্চিম প্রান্তের সমুদ্র উপকূলবর্তী শহরগুলিতে সুনামি আছড়ে পড়তে পারে। ইশিকাওয়া, নিগাতা এবং তোয়ামাতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর দেশের পশ্চিম উপকূলের একটি বড় অংশে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আপাতত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
২০১১ সালে ভূমিকম্পের পর সুনামির কারণে ১৬ হাজার মৃত্যু
২০১১ সালের মার্চ মাসে নয় মাত্রার একটি বিধ্বংসী ভূমিকম্প জাপানে ভয়াবহ সুনামির সৃষ্টি করেছিল। এরপর যে সুনামির ঢেউ উঠেছিল তাতে ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে যায়। সমুদ্রে ১০ মিটার উঁচু ঢেউ অনেক শহরে ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি করে। এতে প্রায় ১৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
জাপান রিং অফ ফায়ারে অবস্থিত
ভূমিকম্পের সবচেয়ে স্পর্শকাতর এলাকায় রয়েছে জাপান। এটি প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ারে পড়ে। রিং অফ ফায়ার হল এমন একটি এলাকা যেখানে মহাদেশীয় প্লেটের সঙ্গে মহাসাগরীয় টেকটোনিক প্লেট বিদ্যমান। যখন এই প্লেটগুলি একে অপরের সাথে সংঘর্ষ হয় তখন ভূমিকম্প হয়। তাদের প্রভাবের কারণেই সুনামি হয় এবং আগ্নেয়গিরিও বিস্ফোরিত হয়।