প্রায় একমাস দেশের ৭টি রাজ্য-সহ কেন্দ্র শাসিত এলাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনও মৃত্যু নেই। পাশাপাশি ১৫টি রাজ্য-সহ কেন্দ্র শাসিত এলাকা গত ২৪ ঘণ্টায় কোনও মৃত্যু রেকর্ড হয়নি। মঙ্গলবার এই তথ্য তুলে ধরেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মন্ত্রকের দাবি, ‘অতিমারীর শীর্ষ সময় থেকে ধরলে ক্রমে কমছে দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যু।‘ জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক সেরো –সার্ভে রিপোর্ট প্রমাণ করেছে দেশ্র ৭০% মানুষ এখনও আক্রান্ত প্রবণ।
জানা গিয়েছে, আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, দাদরা-নগর হাভেলি, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, লক্ষদ্বীপে গত ৩ সপ্তাহে কোনও মৃত্যুর খবর নেই। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, ‘বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে ভারত ২৪ দিনে ৬০ লক্ষ টিকাকরণ সম্পন্ন করেছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে এই গণটিকাকরণ কর্মসূচিতে অবদান রেখেছে। কয়েকটি রাজ্যকে আরও একটু সক্রিয় হতে হবে।‘
তিনি দাবি করেন, ‘কেন্দ্র শাসিত এলাকা-সহ ১২টি রাজ্য গণটিকাকরণ কর্মসূচির প্রায় ৬৫% শেষ করে ফেলেছে। মোট নথিভুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে ৭০% ওপরে টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। এই রাজ্যগুলো—বিহার, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ওড়িশা, মিজোরাম, হিমাচল প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, রাজস্থান এবং কেরালা।‘
যদিও প্রায় ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকা মোট টিকাকরণের ৪০% এখনও পূরণ করতে পারেনি। এদিন জানান স্বাস্থ্য সচিব। তিনি বলেন, ‘পুদুচেরি, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, চণ্ডীগড়, পাঞ্জাব, দাদরা-নগর-হাভেলি, লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর এবং দিল্লি। এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।‘
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, ‘এই রাজ্যগুলোর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখেছি এবং গণটিকাকরণে গতি আনতে পরামর্শ দিয়েছি। মার্চ ২০২১-এর মধ্যে সব করোনা যোদ্ধাদের টিকাকরণ নিশ্চিত করতে চাইছে কেন্দ্র।‘
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সুত্রে খবর, করোনা যোদ্ধা-সহ স্বাস্থ্যকর্মী যারা এখনও টিকা নেয়নি। তাঁদের মার্চ ৬-এর মধ্যে টিকা নিতে হবে। নতুবা বয়সভিত্তিক টিকাকরণ কর্মসূচির আওতাভুক্ত করা হবে তাঁদের।