একদিকে, কৃষক আন্দোলনের মাত্রা বাড়ছে। প্রায় দু'মাস দিল্লি সীমানায় অবস্থান বিক্ষোভে সামিল তাঁরা। অন্যদিকে, রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে চিন। মে মাসে গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকেই উত্তপ্ত ভারত-চিন নিয়ন্ত্রণরেখা। অবশ্য উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনা। গত সপ্তাহেও বানচাল জাওয়ানরা লাল-ফৌজের অনুপ্রবেশের চেষ্টা বামসাল করে দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে মোদী সরকারের কৃষি নীতি ও চিন নীতি প্রশ্নের মুখোমুখি। ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে দেশের কৃষক ও সেনাবাহিনীর অবদানকে শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সোমবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির ভাষণে উঠে এল করোনা প্রসঙ্গেও।
এদিন নিজের বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি কৃষকদের কঠীন সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন। বলেন, 'খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমাদের বিশাল দেশকে আত্মনির্ভর বানিয়েছেন কৃষকরা। করোনা আবহেও কৃষকরা নিজেদের কাজ করে গিয়েছেন। প্রত্যেক ভারতবাসী আজ তাঁদের স্যালুট জানাচ্ছে।'
একইভাবে ভারতীয় সেনারও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রাষ্ট্রপতি। রামনাথ কোবিন্দের কথায়, 'সিয়াচেন ও লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় মাইনাস ৫০-৬০ ডিগ্রি থেকে জয়সলমেরে ৫০ ডিগ্রি প্রচণ্ড উত্তাপে- পাহাড় থেকে মরুভূমিতে দেশের সুরক্ষায় সদা সতর্ক রয়েছেন আমাদের যোদ্ধারা।'
নিজের ভাষণে একবারও চিনের নাম নেননি তিনি। তবে ভাষণে প্রতিবেশী রাষ্ট্রটিকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, 'ভারত তার সীমান্তে একটি সম্প্রসারণবাদী পদক্ষেপের মুখোমুখি হয়েছিল। তবে আমাদের বীর সেনারা তা বানচাল করেছে। দেশের নিরাপত্তা সংকটের মুখোমুখি হলেই সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনী আমাদের তার বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করেছে।'
রাষ্ট্রপতির ভাষণে উঠে এসেছে করোনার প্রসঙ্গও। করোনার বিরুদ্ধে দেশবাসীর লড়াই ও বিজ্ঞানীদের ভ্যাকসিম তৈরির সাফল্যের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, 'করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসকদের সঙ্গে কাজ করেছেন আমাদের বিজ্ঞানীরা। এই মহামারীতে ভারতে মৃত্যুর হার উন্নত দেশগুলির চাইতে কম থাকার নেপথ্যে সমাজের সকল স্তরের মানুষের অবদান রয়েছে।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন