গণেশ পুজোর মণ্ডপে বসেই মদ্যপান। সেই ভিডিও বেশ কিছুদিন ধরে ঘুরছে সোশাল মিডিয়ায়। যা পুলিশের নজরে আসা মাত্রই গ্রেফতার হলেন আটজন। ঘটনাস্থল গুজরাটের সুরাট শহরে গোলওয়াড় এলাকা, যেখানে রবিবার আটজনের মদ্যপানের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করা হয়। সেই ভিডিও শেয়ার করা হয় সোশাল মিডিয়ায়। উল্লেখ্য, গুজরাট সরকারিভাবে 'ড্রাই স্টেট', অর্থাৎ মদ কেনাবেচার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে রাজ্যে।
ওই আটজনের নাম কমলেশ রানা, তেজস রানা, রোশন রানা, গণেশ রানা, রজনীকান্ত রানা, অমিত রানা, অনিল রানা এবং আশরফ পাঠান। ভিডিওটি যেখানে রেকর্ড করা হয়েছে, সেখানেই বসবাস করেন ওই আট ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে খবর, মদের চোরাকারবারের জন্য একসময় কুখ্যাত ছিল এই চত্বর। ভারতীয় দন্ডবিধির ১৫৩, ২৯৫, ১৪৩, ১৮৮ এবং ১২০ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত আটজনকে।
আরও পড়ুন: ৯ বছরের বোনকে ধর্ষণে অভিযুক্ত নাবালক দাদা
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে আরও তিনজনকে দেখা গিয়েছে। তাঁরা এখনও অধরা, তবে খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। সুরাটের পুলিশ কমিশনার হরিকৃষ্ণ প্যাটেল বলেন, "মঙ্গলবার আমরা গণেশ পুজোর আয়োজকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করি, যেখানে আমাদের ভিডিও সম্পর্কে জানানো হয়। আমরা আমাদের কন্ট্রোল রুমেও এই সম্পর্কে তথ্য পেয়েছি। গণেশ মূর্তি দেখে আমরা প্যান্ডেলটি চিহ্নিত করে সেই অনুসারে আটজন অভিযুক্তকে সনাক্ত করেছিলাম। আমাদের দল এখন অন্যদের সনাক্ত করছে।"
তিনি আরও জানান, মাদকজাত দ্রব্য অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের "মায়ের অনুমতিতে" কেনা হয়েছিল। পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়েও এখনও আপাতত কিছু খুঁজে পায়নি। “প্রায় ১০-২০ বছর আগে এই অঞ্চলটি কুখ্যাত ছিল মাদকদ্রব্যের চোরাকারবারীদের জন্য। তবে পরিস্থিতির এখন অনেক উন্নতি হয়েছে। রেকর্ড অনুসারে, আমরা ওই এলাকায় ১২ টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছি কিন্তু এখনও কিছু পাওয়া যায়নি। এসিপি র্যাঙ্কের একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে পুলিশের তদারকিতে কোনও ত্রুটি রয়েছে কিনা তা তদন্ত করতে বলা হয়েছে। ভিডিওটি মধ্যরাতের দিকে শুট করা হয়েছিল, যখন পুলিশ বাহিনী প্রায় ৩০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়ও," বলেন প্যাটেল।
Read the full story in English