Advertisment

করোনাকালে সদ্যোজাত ও প্রসূতিদের মৃত্যু-মিছিল দেশের এই প্রান্তে, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ্যে

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে এব্যাপারে একটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই NHRC-কে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য সরকার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
877 newborns, 61 mothers died as women refused hospital delivery during Covid 19 pandemic, Meghalaya govt to NHRC

প্রতীকী ছবি।

করোনাকালে হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাড়িতেই প্রসবের জেরে ৮৭৭ সদ্যোজাত শিশু ও ৬১ প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। মূলত সংক্রমিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই এই মহিলারা মহামারীর সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে চাননি। যার জেরে সদ্যোজাত শিশু ও প্রসূতিদের মৃত্যুর মিছিল দেখেছে মেঘালয়। সম্প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে জমা দেওয়া একটি রিপোর্টে একথা জানিয়েছে মেঘালয় সরকার।

Advertisment

করোনাকালে মেঘালয়ে ব্যাপক হারে প্রসূতি ও সদ্যোজাতের মৃত্যু নিয়ে জাতীয় মানবাধিকতার কমিশনে একটি মামলা হয়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের কাছে এব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বা NHRC। কমিশনে জমা দেওয়া মেঘালয় সরকারের রিপোর্ট চোখ কপালে তোলার পক্ষে যথেষ্ট। দেখা যাচ্ছে, মহামারীর সময়ে মেঘালয়ে বাড়িতেই প্রসবের জেরে ৮৭৭ সদ্যোজাত শিশু ও ৬১ প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে।

NHRC-কে দেওয়া মেঘালয় সরকারের ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ''সদ্যোজাতের মৃত্যুর কারণগুলি খতিয়ে দেখা হয়েছিল। দেখা গিয়েছে, এই মৃত্যুগুলি প্রয়োজনীয় চিকিত্সা এবং যত্নের অভাবের কারণেই হয়েছিল। কারণ গর্ভবতী মহিলারা করোনার সংক্রমণের ভয়ে স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তি হতে চাইছিলেন না। এমনকী তাঁদের অনেকে করোনা পরীক্ষা করাতেও রাজি ছিলেন না।''

আরও পড়ুন- হিজাব মামলার রায়দানকারীদের ‘হুমকি’, তিন বিচারপতিকে Y ক্যাটাগরির সুরক্ষা

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, মহামারীর সময়ে করোনা পজিটিভ ও নেগেটিভ রোগীদের আলাদা করে রাখা বাধ্যতামূলক ছিল। তাই হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে করোনা টেস্ট করতেই হচ্ছিল।

গর্ভবতী মহিলাদের একাংশ করোনা পরিস্থিতিতে হাসপাতালে ভর্তি হতে না চাইলেও রাজ্য সরকারের তরফে তাঁদের স্বাস্থ্যের দিকে সব সময় খেয়াল রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে। গর্ভবতী মহিলারা যাতে বাড়িতে থেকেও স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলি ঠিকঠাক পান সেব্যাপারে সজাগ ছিলেন স্বাস্থ্য কর্মীরা।

নিয়মিতভাবে গর্ভবতী মহিলাদের বাড়িতে গিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলা থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে তাঁদের স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখা হয়েছিল। এমনকী প্রসবের সময় যাতে তাঁরা হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হন সেব্যাপারেও তাঁদের বারবার আবেদন করা হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে দেওয়া রিপোর্টে উল্লেখ করেছে মেঘালয় সরকার।

Read full story in English

Meghalaya Pandemic NHRC newborn Death
Advertisment