শুক্রবার দেশের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্স (সিবিডিটি) জানিয়েছে 'স্টপ ফাইলার্স' বলে কোনও শব্দবন্ধ তাদের অভিধানে নেই। এরকম কোনও নথির রক্ষণাবেক্ষণ তারা করে না বলেও জানানো হয়েছে।
গত ৪ এপ্রিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত হওয়া একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে নোটবন্দির বছরে ৮৮ লক্ষ করদাতা আয়কর রিটার্ন দেয়নি। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে স্টপ ফাইলার্স ( গত বছর আয়কর জমা দিয়েছেন কিন্তু এ বছর ফাঁকি দিয়েছেন, এমন নাগরিক) দের সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে, প্রতিবেদন মারফত প্রকাশ্যে এসেছে তা।
আরও পড়ুন, অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড কাণ্ড: অভিযুক্তদের নাম আগেই সামনে এনেছিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা বলছেন, এর পেছনে বিমুদ্রাকরণের ফলে চাকরি খুইয়ে ফেলার মতো ঘটনাই দায়ী।
সিবিডিটি-র বিবৃতির সঙ্গে রিপোর্টের কোনও মিল পাওয়া যাচ্ছে না। সাংবাদিক বিবৃতিতে সিবিডিটি জানিয়েছে স্টপ ফাইলার্স সংক্রান্ত সব তথ্য ভুয়ো। আয়কর দফতর থেকে এরকম কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি বলেও উল্লেখ রয়েছে সাংবাদিক বিবৃতিতে। দফতরের মধ্যে কেউ বলছেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন থেকেই জানতে পেরেছিলেন স্টপ ফাইলার্সের কথা। কেউ বলছেন ২০১৬-র ২২ এপ্রিলের রিপোর্ট থেকেই স্টপ ফাইলার্সের কথা জানতে পেরেছেন।
সংসদে জমা দেওয়া আভ্যন্তরীণ রিপোর্টেও এই প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল।
২০১৭-র ২০ ডিসেম্বরের লোকসভায় জমা দেওয়া রিপোর্টে স্ট্যান্ডিং কমিটি ৫০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। নিম্নলিখিত বিষয়গুলির ওপর ভিত্তি করে আয়কর দফতর স্টপ ফাইলার্সের হিসেব করেছে।
১) বছরের শুরুতে করদাতাদের সংখ্যা
২) বছরের মাঝে করদাতাদের সংখ্যা কতটা বাড়ল
৩) করদাতাদের সংখ্যা কতটা কমল
৪) ১+২-৩ এই হিসেব করে করদাতাদের সংখ্যা কত হল
৫) এবার মোট করদাতাদের মধ্যে কতজন আয়কর রিটার্ন ফাইল করল
৬) কতজন আয়কর রিটার্ন ফাইল করল না
সিবিডিটি বলছে ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে মোট ২৮.৩ লক্ষ দেশবাসী কর ফাঁকি দিয়েছে। কিন্তু ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তাদের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হিসেবেই অনড় থাকছে।
Read the full story in English