ওমিক্রনের দাপট অব্যাহত। মুম্বইয়ে মোট করোনা আক্রান্তের অধিকাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত। অন্তত রিপোর্ট তাই ইঙ্গিত করছে। সম্প্রতি একটি পরীক্ষা থেকে উঠে এসেছে এই তথ্য। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে ২৮০ টি নমুনার মধ্যে ৮৯% অর্থাৎ ২৪৮ টি নমুনাই অমিক্রন পজিটিভ। বাকি ২১ টি নমুনা বা ৮% লোকের মধ্যে ডেল্টার উপস্থিতি নজরে এসেছে। এবং ১১টি নমুনা অথবা ৩% মানুষের মধ্যে অন্যান্য প্রজাতির উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল।
বিষয়টি নিয়ে রীতিমত চিন্তিত, বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (বিএমসি)। বিএমসির এক শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিক এই বিষয়ে জানান, "করোনা দ্বিতীয় ঢেউ কালে বেশির ভাগ মানুষের শরীরে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। এখন ওমিক্রন ভ্যরিয়েন্ট সেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তিত। ওমিক্রন রোধে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে"।
অন্যদিকেকোভিড ১৯ টাস্ক ফোর্সের অন্যতম সদস্য, ডঃ শশাঙ্ক জোশি বলেন, "বিশ্বব্যাপী প্যাটার্ন বিবেচনা করে, আশা করা হয়েছিল যে ওমিক্রন ধীরে ধীরে ডেল্টা ভেরিয়েন্টের উপর আধিপত্য বিস্তার করবে। তবে এটিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয় এবং লোকেদের নিজেদের আরও বেশি সচেতন হওয়া দরকার। এটা ঠিক যে ওমিক্রন তুলনায় অনেক কম শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করে, তাও এর সংক্রমণ ক্ষমতাকে বিবেচনা করে আমাদের সকলকে আরও বেশি সাবধানতা মেনে চলা দরকার"।
বিএমসি তথ্য অনুসারে ২৮০ টি নমুনার মধ্যে ৬৯ বা ৩৪% রোগীর বয়স ২১ থেকে ৪০ বছর। ৭৯ বা ২৮ % ৪১ থেকে ৬০ বছর বয়সী। ৬৯ বা ২৫ % ৬১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে। মোট আক্রান্তের ৯৯ জন টিকাবিহীন রোগীর মধ্যে ৭৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে, ১২ জনের ক্ষেত্রে অক্সিজেন প্রয়োজন হয় এবং পাঁচজন আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন।ইতিমধ্যেই ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণের খবরে সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্র। তবে এই পরিসংখ্যান রীতিমত কপালে ভাঁজ ফেলেছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। শহরে এখনও পর্যন্ত যে সকল নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে সর্বশেষ নমুনার ফলাফল যে মোটেও সন্তোষজনক নয় তা মেনে নিয়েছে, বিএমসি।