জল খাওয়ার ‘অপরাধে’ রাজস্থানে এক দলিত ছাত্রকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠলো শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় দেশ জুড়ে। জানা গিয়েছে শনিবারই আহমেদাবাদের একটি হাসপাতালে বছর নয়েকের দলিত শিশুর মৃত্যু হয়। এরপরই পরিবারের রোষ গিয়ে পড়ে শিক্ষকের ওপর।
পরিবারের দাবি গত ২০ জুলাই স্কুল চলাকালীন শিক্ষকের জন্য ‘সংরক্ষিত’ মাটির পাত্র থেকে ভুল করেই জল খেয়ে নেয় দলিত শিশুটি। আর সেই ‘অপরাধে’ শিশুটিকে বেধড়ক মারধর করেন ওই শিক্ষক। এর পরেই শিশুটি বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আহমেদাবাদের একটি হাসপাতালে শিশুটিকে স্থানান্তরিত করা হয়। আর তারপরই গত শনিবার মৃত্যু হয় শিশুটির।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষককে আটক করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জালোরের এসপি হর্ষ বর্ধন আগরওয়াল বলেছেন, “মৃত শিশুর ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে আমরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব”।
আরও পড়ুন: < নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে লালকেল্লা, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাজো সাজো রব! >
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট শনিবার একটি টুইট বার্তায় দলিত শিশুমৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করে লিখেছেন, “জালোরের সাইলা থানা এলাকায় একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকের মারে শিশুর মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক। অভিযুক্ত শিক্ষককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। দলিত পরিবার যাতে দ্রুত বিচার পায় তা নিশ্চিত করা হবে। মৃত শিশুর পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণেরও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে”।
যদিও শিশু মৃত্যুর ঘটনাকে সামনে এনে গেহলট সরকারকে তুলোধোনা করেছেন বিরোধী শিবির। রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে শিশু মৃত্যুর ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। । শনিবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি সতীশ পুনিয়া এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, “এর জন্য দায়ী কে? আপনার শাসনে একজন ৯ বছরে পড়ুয়াও নিরাপদ নয়। এই সময় মৃত শিশুর পরিবারের পাশে দাঁড়ান এবং দোষী শিক্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করা সরকারের এক ও একমাত্র দায়িত্ব”।