কিছুদিনেই ইংল্যান্ড ছাড়তে হবে এই খুদে দাবাড়ুকে, জানুন কেন!

একটি বেসরকারি সংস্থায় তথ্য প্রযুক্তি কর্মী হিসাবে কাজ করেন শ্রেয়াসের বাবা জিতেন্দ্র সিং। সম্প্রতি তাঁকে জানানো হয়, যেহেতু তাঁর বাৎসরিক রোজগার ১২০,০০০ পাউন্ডের বেশি নয়, আইন অনুযায়ী দেশে থাকতে দেওয়া হবে না তাঁদের।

একটি বেসরকারি সংস্থায় তথ্য প্রযুক্তি কর্মী হিসাবে কাজ করেন শ্রেয়াসের বাবা জিতেন্দ্র সিং। সম্প্রতি তাঁকে জানানো হয়, যেহেতু তাঁর বাৎসরিক রোজগার ১২০,০০০ পাউন্ডের বেশি নয়, আইন অনুযায়ী দেশে থাকতে দেওয়া হবে না তাঁদের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
shreyas-royalchess-prodigy-759

খুদে দাবাড়ু শ্রেয়াস রয়্যাল

আর মাত্র কিছুদিন, তারপরেই ব্রিটিশ অভিবাসন আইন অনুযায়ী ইংল্যান্ড থেকে কার্যত তাড়িয়েই দেওয়া হতে পারে এই ভারতীয়কে খুদে দাবাড়ু এবং তার পরিবারকে। কিছুদিন আগে সম্ভব্য সেরা দাবাড়ুর খেতাব পেয়েছে এই কিশোর, তার বয়সী সেরা দাবাড়ুদের মধ্যে চতুর্থ স্থানেই শ্রেয়াস রয়্যালের নাম। তবে শীঘ্রই ইংল্যান্ড ছাড়তে হবে তাকে।

Advertisment

মাত্র তিন বছর বয়সেই বাবার কাজের সূত্রে পরিবারের সঙ্গে ব্রিটেনে আসে শ্রেয়াস। মাত্র ৯ বছর বয়সী এই খুদের মধ্যে রয়েছে দাবার তুখোড় প্রতিভা। একের পর এক সাফল্যের পালক জুড়েছে তার মুকুটে। আর এই কারণেই ইংল্যান্ডে দারুণ পরিচিতিও লাভ করে সে।

আরও পড়ুন: প্রবাসিনীর চিঠি: ত্রাসগ্রস্ত টরন্টো

একটি বেসরকারি সংস্থায় তথ্য প্রযুক্তি কর্মী হিসাবে কাজ করেন শ্রেয়াস রয়্যালের বাবা জিতেন্দ্র সিং। সম্প্রতি তাঁকে দেশের প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, যেহেতু তাঁর বাৎসরিক রোজগার ১২০,০০০ পাউন্ডের বেশি নয় সেই কারণে আইন অনুযায়ী দেশে থাকতে দেওয়া হবে না তাঁদের। এমনকি তার ওয়ার্ক ভিসাও রিনিউ করা হবে না আর। এদিকে আর কিছুদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে জিতেন্দ্র সিং-এর ওয়ার্ক ভিসা।

Advertisment

সম্প্রতি, সরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে এ বিষয়ে আবেদনও জানিয়েছেন শ্রেয়াস রয়্যালের পরিবার। তবে চলতি সপ্তাহে একটি চিঠি পান তাঁর পরিবার যাতে জানানো হয়, শুধুমাত্র রয়্যালের কারণে তাঁদের দেশে থাকতে দেওয়া সম্ভব নয়। এখানেই শেষ নয়, ইংলিশ চেস ফেডারেশন স্বরাষ্ট্র সচিব সজিদ জাভেদকে আবেদন জানায় শ্রেয়াসের পরিবারকে সেখানেই থাকতে দেওয়ার জন্য। এমনকী অনেকে ভারতীয় মন্ত্রককেও অনুরোধ জানিয়েছেন এই বিষয়টি দেখার জন্য।

শ্রেয়াস রয়্যালকে দেশ থেকে বহিষ্কৃত করে দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠতেই ট্যুইটার থেকে ফেসবুক, প্রতিবাদে সরব হয় স্যোশাল মিডিয়া। দেশের এমন সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে নারাজ প্রত্যেকেই।

publive-image

chess England