Lakshadweep: লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসককে নিয়ে ক্ষোভের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন ৯৩ জন প্রাক্তন শীর্ষ আমলা। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে উন্নয়নের নামে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে, তা নিয়েই চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন আমলারা। দ্বীপবাসীদের মত নিয়েই উন্নয়নের কাজ করা হোক বলে চিঠিতে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
২০২০ সালে লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসকের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রফুল খোড়া প্যাটেল যে তিনটি বিতর্কিত আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা দ্বীপপুঞ্জের ভৌগলিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের পরিপন্থী বলে চিঠি উল্লেখ করেছেন আমলাদের ওই গোষ্ঠী। চিঠির একটি কপি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং পরিবেশ-বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরকেও পাঠানো হয়েছে।
প্রাক্তন আমলাদের দাবি, স্থানীয়দের মতামত না নিয়েই এই খসড়া আইন পাশের চেষ্টা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুক। আমলাদের সাংবিধানিক সংগঠন আরও জানিয়েছে, গত ৭০ বছর ধরে লাক্ষাদ্বীপে কোনও উন্নয়ন হয়নি এই কথা বলে মালদ্বীপ মডেল তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু দুই দ্বীপুঞ্জের আয়তন, জনসংখ্যা ও ভৌগলিক বিস্তারের পার্থক্যকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন Lakshadweep: মানুষের রায় ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত নয়, প্রশাসককে বার্তা অমিত শাহের
এই সংগঠনে রয়েছেন প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন, প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও জহর সরকার, প্রাক্তন বিদেশ সচিব সুজাতা সিং, প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন উপদেষ্টা টি কে এ নায়ার-সহ ৯৩ জন প্রাক্তন শীর্ষ আমলা।
প্রসঙ্গত, গত সোমবারই লাক্ষাদ্বীপ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিজেপির প্রতিনিধি দলকে সাফ জানিয়েছেন, দ্বীপপুঞ্জের জনতার ইচ্ছা ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। মানুষ যেটার পক্ষে সায় দেবে সেটাই বাস্তবায়িত হবে। লাক্ষাদ্বীপে বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা এ পি আবদুল্লাকুট্টি জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তগুলি এখনও চিন্তাভাবনার স্তরেই আছে। তার বাস্তবায়নের আগে দ্বীপপুঞ্জের মানুষের মতামত নেওয়া হবে। তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, মানুষকে বোঝাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মানুষের রায় নিয়েই কাজ হবে।
আরও পড়ুন দুয়ারে পিজ্জা দিতে পারলে দুয়ারে রেশন নয় কেন? মোদীকে প্রশ্ন কেজরিওয়ালের
বিজেপি স্বীকার করেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘Save Lakshadweep’ প্রচার এবং কেরালার রাজনৈতিক মহলের তরফ থেকে চাপের জেরে দক্ষিণের রাজ্য এবং লাক্ষাদ্বীপে বেকায়দায় পড়েছে দল। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশও প্যাটেলের স্বৈরাচারী মনোভাবের কারণে অসন্তুষ্ট। বিরোধীদের চাপে সম্ভবত প্যাটেলকে সরিয়ে দিতে পারে কেন্দ্র। আপাতত ধীরে চলো নীতি নিতে বলা হয়েছে প্রশাসককে। স্পর্শকাতর বিষয়গুলিতে আলোচনা না করে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে বারণ করা হয়েছে তাঁকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন