Advertisment

মহাত্মা গান্ধী-মার্টিন লুথারের কিং জুনিয়রের দর্শন প্রচারে নয়া বিল পাস মার্কিন হাউসে

মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভারত ও আমেরিকার বন্ধুত্বকে সুদৃঢ় করার জন্য এবং গান্ধী ও মার্টিন লুথার কিং-এর অবদানকে সম্মান জানিয়ে হাউস বিলটি (এইচআর ৫৫১৭) আইনসভায় পেশ করা হয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

জাতির জনক  মহাত্মা গান্ধী এবং মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের জীবনধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নয়া বিল পাস করল মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টিটিভ। এই বিল বাস্তবায়নের জন্য আমেরিকার নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা তথা কিংবদন্তি কংগ্রেসম্যান জন লুইস আগামী পাঁচ বছরের জন্য ১৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দের একটি বাজেটও পেশ করেছেন। মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভারত ও আমেরিকার বন্ধুত্বকে সুদৃঢ় করার জন্য এবং গান্ধী ও মার্টিন লুথার কিং-এর অবদানকে সম্মান জানিয়ে হাউস বিলটি (এইচআর ৫৫১৭) আইনসভায় পেশ করা হয়।

Advertisment

আরও পড়ুন: মার্কিন হাউসে ‘ইমপিচড’ ট্রাম্প, অভিযোগ ক্ষমতা অপব্যবহারের

এই বিলটিকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, "এটি ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সাংস্কৃতিক এবং আদর্শগত বন্ধনকে আরও মজবুত করে তুলবে। উল্লেখ্য, হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সমর্থন করেছেন এই বিলটিকে। এই বিলে গান্ধী-মার্টিন কিং লুথার ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন তৈরির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে, যা ভারতীয় আইন অনুসারে ইউএসএআইডি তৈরি করবে বলে খবর। এই প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন ছ'জন ডেমোক্র্যাট আইনজীবী। তাঁদের মধ্যে তিনজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত- ড: অ্যামি বেরা, আর ও খান্না এবং প্রমীলা জয়াপাল। অন্য তিন জন হলেন, ব্রেন্ডা লরেন্স, ব্র্যাড শেরম্যান এবং জেমস ম্যাকগভার্ন।

আরও পড়ুন: ‘লুকোচুরি’ শেষে দিল্লি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখরের

বিলটিতে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের সরকারদের দ্বারা গঠিত একটি গভর্নিং কাউন্সিল স্বাস্থ্য, দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন, শিক্ষা এবং মহিলা ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাদের অনুদানের বিষয়টিও তদারকি করবে। গান্ধী-কিং প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত প্রস্তাবের ক্ষেত্রে 'স্কলার এক্সচেঞ্জ'-এর মতো বিষয়কেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে এ জন্য ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারও ধার্য করা হয়েছে। এমনকী বিলে একটি বার্ষিক এডুকেশনাল ফোরামের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। গান্ধী ও কিংয়ের দর্শন এবং তাঁদের কাজ নিয়ে পড়ার সুযোগ ও ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখার সুযোগও থাকবে।

Read the full story in English

International news
Advertisment