সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির একটি পার্ক থেকে উদ্ধার বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ। জানা গিয়েছে, পশ্চিম দিল্লি বিজেপির প্রাক্তন সহ-সভাপতি ছিলেন জি এস বাওয়া। দেহ উদ্ধারের দিন সন্ধ্যায় পার্কের গ্রিল থেকে তাঁকে ঝুলতে দেখেন স্থানীয়রা। প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক অশান্তির কারণে আত্মহত্যা করেছেন বাওয়া। যদিও পুলিশ এখনই এবিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলেনি।
পশ্চিম দিল্লিরই ফতে নগরে বাড়ি ওই বিজেপি নেতার। যে পার্ক থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেটাও তাঁর বাড়ি থেকে হাঁটাপথ দূরত্বে। পুলিশ জানিয়েছে, বাওয়ার বয়স ৫৮ বছর। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা কি না, তার জন্য ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের অপেক্ষায় দিল্লি পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, পারিপার্শ্বিক বিচার করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। তবে তারও আগে বিজেপি নেতার ময়না তদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছে পুলিশ। রিপোর্ট এলে, তদন্ত এগোলে, তবেই বিজেপি নেতার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এর আগে গত ১৭ মার্চ দিল্লিরই অপর এক বিজেপি নেতা ও সাংসদ রাম স্বরূপ শর্মাকে তাঁর বাড়িতে রহস্যজনক ভাবে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। শর্মার দেহও তাঁর ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
হিমাচল প্রদেশের বিজেপি সাংসদ রাম স্বরূপ শর্মার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল দিল্লিতে। ১৭ মার্চ নর্থ অ্যাভিনিউয়ে তাঁর দিল্লির বাসভবন থেকে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন সেই সাংসদ। তবে মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাঁর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন বিজেপি, কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন দলের রাজনীতিবিদরা।
বুধবার বিজেপি-র সংসদীয় কমিটির বৈঠক ছিল। সেই খবর পাওয়ার পর বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে, রাম স্বরূপের বাড়িতে খবর পাঠানো হয়েছিল। তাঁর স্ত্রী ছাড়াও ৩ ছেলে রয়েছে। তাঁরা দিল্লিতে এসে দেহ হিমাচল প্রদেশে নিয়ে গিয়েছেন।
৬৩ বছরের রাম স্বরূপের জন্ম হিমাচলের মান্ডি জেলায়। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি প্রথম মান্ডি কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন। ২০১৯-এও ওই কেন্দ্র থেকে জিতেছেন। সংসদের বিদেশ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি।