রাজধানীর কৃষক আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন ছেপে বিতর্কে জড়ালো চেন্নাইয়েরে একটি নামজাদা স্কুল। কী বিতর্ক প্রশ্নপত্রে? জানা গিয়েছে, '২৬ জানুয়ারির আন্দোলন হিংসাত্মক ছিল।' এমন উল্লেখ করে সম্পাদককে চিঠি লিখতে বলা হয়েছিল প্রশ্নপত্রে। শুধু তাই নয়, প্রশ্নপত্রে ওই ঘটনাকে ‘বহিরাগতদের উস্কানিতে হিংসাত্মক কার্যকলাপ’ বলেও উল্লেখ করা হয়।
আর এতেই বেড়েছে বিপত্তি। সঙ্গীতঙ্গ টি এম কৃষ্ণ সেই প্রশ্নপ্রত্রটি টুইটারে শেয়ার করেন। প্রশ্নপত্রটি নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক। নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার ওই স্কুল।
গত ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর র্যালি ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির তৈরি হয় রাজধানীতে। লালকেল্লায় তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার উল্লেখ করে বলা হয়েচে ‘এমন ঘটনা ধিক্কারজনক’, ‘লজ্জার’। সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ‘সম্পাদকের উদ্দেশে চিঠি’ লেখার কথা বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, চিঠিতে এ ধরনের তাণ্ডব রুখতে কী ধরনের পদক্ষেপ করা উচিত সে সম্পর্কেও দু’এক কথা লিখতে বলা হয়েছে।
এদিকে, টুলকিট-কাণ্ডে শুক্রবার পরিবেশকর্মী দিশা রবিকে তিন দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল দিল্লির আদালত। তার আগে পাতিয়ালা হাউস কোর্টে দিশাকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে দিল্লি পুলিশ। তাঁকে জেরা করে এই ষড়যন্ত্রের পিছনে আরও কয়েকজনের নাম বের করতে চায় পুলিশ। কিন্তু আদালত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
এদিন সরকারি কৌঁসুলি আদালতকে জানান, পুলিশি জেরায় দিশা অন্য অভিযুক্ত শান্তনু এবং নিকিতা জ্যাকবের বিরুদ্ধে দায় ঠেলেছে। তাই দিশাকে শান্তনুর মুখোমুখি বসিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি জেরা করতে চায় পুলিশ। সেই কারণে তিন দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে দিশাকে চায় পুলিশ। পুলিশের দাবি, দিশা, শান্তনু এবং নিকিতারা মিলে একটি টুলকিট তৈরি করেন কৃষক আন্দোলনের জন্য যেটা পরে শেয়ার করেছিলেন পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।। গ্রেটাকে সেই টুলকিট টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে পাঠান দিশা।