Church Vandalised: আম্বালার এক চার্চে যিশুখ্রিস্টের মূর্তি ভাঙচুর অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের। দুই সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক ধারায় এফআইআর করা হয়েছে। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত, বলপূর্বক প্রবেশ এবং দুষ্কর্ম; এই তিন ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ সুত্রে খবর, চার্চের সিসিটিভি থেকে দুই জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। শনিবার মধ্যরাত ১২.৩০টা থেকে ১.৪০-এর মধ্যে এই ভাঙচুর চলেছে। প্রথমে গির্জা চত্বরের লাইট ভাঙা হয়েছ। তারপর ভাঙা হয়েছে যিশু মূর্তি। চার্চের তরফে অভিযোগ পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এএসপি পূজা দাবলার নেতৃত্বাধীন বিশেষ পুলিশ বাহিনী। সেই তদন্তকারী দলে আছেন আম্বালা ক্যান্টনমেন্টের ডিএসপি এবং স্থানীয় থানার এসএইচও।
চার্চের ফাদার বলেন, ‘কয়েক শতকের পুরনো এই চার্চের ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। ১৮৪০ সালে এই চার্চ প্রতিষ্ঠা হলেও, এযাবৎকাল কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে রাত ১২.৩০টা নাগাদ দুই সন্দেহভাজন চার্চে প্রবেশ করেছিল। কোভিড প্রোটকল মেনে আমরা সাড়ে ৯টার মধ্যে প্রার্থনা শেষ করে দিয়েছিলাম। সাড়ে ১০টার মধ্যে চার্চ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তারপর শুনশান হয়ে গিয়েছিল গির্জা চত্বর।‘
এদিকে, বড়দিনের উৎসব পালনের সময় খ্রিস্টান স্কুলে ঢুকে গন্ডগোল করার অভিযোগ উঠল হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে। গুরুগ্রামে ক্রিসমাস ইভের সময় অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পতৌডির এসবিডি পাবলিক স্কুলে।
পতৌডি থানার শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, “একটি ভিডিও ক্লিপ দেখে আমরা ঘটনার কথা জানতে পারি। স্কুল কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু মানুষকে স্কুল চত্বরে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেয়। তার পর সেখানে কিছু মানুষ আসেন, এবং স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাঁরা ভেবেছিলেন, সেখানে ধর্মান্তকরণ হচ্ছিল। এর পর স্কুলের মালিক তাঁদের অনুরোধ করতে তাঁরা সেখান থেকে চলে যান। আমরা কোনও অভিযোগ পাইনি।”
পতৌডিতে ধর্ম জাগৃতি মিশনের প্রধান আর পি পাণ্ডে জানিয়েছেন, বুধবার এক মহিলা তাঁর বাড়ির দরজায় ধাক্কা দেন এবং শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান। তাঁর অভিযোগ, “শুক্রবার দুপুর তিনটে নাগাদ আমরা জানতে পারি, বড়দিন উৎসব পালনের নামে সেখানে ধর্মান্তকরণ হচ্ছিল। তার পর সেখানে গিয়ে আমরা দেখি কী হচ্ছে। এক ঘণ্টা ধরে আমরা অনুষ্ঠান দেখি। পরে দেখলাম সেখানে তাঁরা শিশুদের মগজধোলাই করছেন এবং খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণের জন্য বোঝাচ্ছেন। তখন আমরা হস্তক্ষেপ করি। আমরা এধরনের কাজকর্ম সফল হতে দেব না।”
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পাণ্ডে আচমকা মঞ্চে উঠে মাইক তুলে নেন এবং জমায়েতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আমরা খ্রিস্টকে অসম্মান করছি না। কিন্তু আমরা এই শিশুদের বলতে চাই, আইনত এসব করলে সমস্যা নেই। কিন্তু ধর্মান্তকরণের চেষ্টা বা ভারতীয় সংস্কৃতিকে নষ্ট করার চেষ্টায় বাধা দেব আমরা।। তোমাদের এটাকে রক্ষা করার অঙ্গীকার নিতে হবে। তাই সেই অঙ্গীকার নাও এবং জয় শ্রী রাম ধ্বনি দাও।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন