Advertisment

রাজ্য বিধানসভায় ধর্মান্তকরণ-রোধী বিল, কর্নাটকের চিক্কাবল্লপুরে গির্জায় ভাঙচুর

Karnataka: তবে রাজ্যের বিজেপি সরকারের আনা এই বিলের প্রতিবাদ সরব একাধিক সংগঠন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Karnataka Assembly, Anti-Conversion Bill, Church Vandalism

বিলের উপর চলেছে বিতর্ক। ফাইল ছবি

Karnataka: কর্নাটক বিধানসভায় পাশ হতে চলেছে ধর্মান্তকরণ-রোধী বিল ২০২১। বৃহস্পতিবার এই বিল নিয়ে আলোচনা হয়েছে রাজ্য বিধানসভায়। তার আগে এদিন সকালে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় চিক্কাবল্লপুরের একটি গির্জায়। তবে রাজ্যের বিজেপি সরকারের আনা এই বিলের প্রতিবাদ সরব একাধিক সংগঠন। বুধবার তারা বেঙ্গালুরুতে প্রতিবাদ মিছিল করেছে। যদিও ২০২৩-এর বিধানসভা ভোটের আগে এই বিল বিজেপিকে রাজনৈতিক অক্সিজেন দেবে। এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

Advertisment

বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে এই বিল পাশ হলেও বিধান পরিষদে বিরোধীদের দাপটে আটকে যেতে পারে বহু প্রতীক্ষিত এই ধর্মান্তকরণ-রোধী বিল ২০২১। এই বিলে উল্লেখ, তপশিলি জাতি, উপজাতি, শিশু-কিশোর এবং মহিলাদের বলপূর্বক অন্য ধর্মে দীক্ষিত করলে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের সম্ভাবনা।

এদিকে, কর্নাটকে যখন বৃহস্পতিবার গির্জায় ভাঙচুর চলেছে, তখন হরিদ্বার ধর্ম সংসদের এক ভাইরাল ভিডিও ঘিরে শোরগোল। মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হিন্দুদের অস্ত্র তুলে নিতে হবে। হরিদ্বারে আয়োজিত ‘ধর্ম সংসদে’ উপস্থিত প্রতিনিধিদের প্রতি এই আবেদন করা হল। চলতি মাসের ১৭-১৯ পুন্যভূমি হরিদ্বারে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই রুদ্ধদ্বার সংসদ। সম্প্রতি সংসদের ভিতরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, উপস্থিত প্রতিনিধিদের এভাবে সংকল্প নিতে। জানা গিয়েছে, বিতর্কিত ধর্মগুরু যতি নরসিংহনন্দ এই সংসদের মূল আয়োজক। এর আগেও একাধিকবার উস্কানিমূলক মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়ান তিনি।

কিন্তু হরিদ্বারের সংসদ সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। ২০২৯-এ যাতে কোনওভাবেই দেশে মুসলিম প্রধানমন্ত্রী না হতে পারে। সেই ভাবনা থেকেই অস্ত্র তুলে নেওয়ার আবেদন। এমনটাই সেই ভিডিওয় উল্লেখ। সেই সংসদে এক বক্তা বলেছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে গুলিবিদ্ধ করে পিস্তল খালি করতে পারতেন তিনি। এই সংসদে উপস্থিত ছিলেন দিল্লি বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র অশ্বিনী উপধ্যায়।  

যদিও গোটা বিতর্ক থেকে নিজেকে দূরে রাখতে সক্রিয় বিজেপি নেতা। তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘তিনদিনের অনুষ্ঠানে আমি মাত্র একদিন ছিলাম। মাত্র ৩০ মিনিট মঞ্চে ছিলাম। শুধুই দেশের সংবিধান নিয়ে বলেছি। আমার আগে এবং পরে কে কী বলেছেন, তাঁর জন্য আমি দায়ী নয়।‘

অপরদিকে, যার সংসদ ঘিরে এত বিতর্ক সেই যতি নরসিংহনন্দ জানান, তিনদিনের সংসদের মূল আলোচ্য ছিল ২০২৯-এ দেশের মুসলিম প্রধানমন্ত্রী। এটা কোনও ভিত্তিহীন ভাবনা নয়। আমাদের আশপাশের পরিবেশ দেখলেই বুঝবেন, কীভাবে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ছে আর হিন্দুরা কমছে। আগামি ৭-৮ বছরের মধ্যে রাস্তায় শুধু মুসলিমদের দেখা যাবে। গত দুই দশক ধরেই আমি এই কথা বোঝানোর চেষ্টা করছি।‘

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Anti-Conversion Bill Church Vandalism
Advertisment