টিউশন যাওয়ার পথে অপহরণ করে গণধর্ষণ ছাত্রীকে। মীরাটে বৃহস্পতিবার আত্মঘাতী দশম শ্রেণির ওই কিশোরী। যদিও পরিবারের অভিযোগ, ‘অভিযুক্তরাই নিগৃহীতাকে বিষ খাইয়ে খুন করেছে।‘ এই ঘটনায় মৃত কিশোরীর দাদার অভিযোগের ভিত্তিতে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত অপর দুই জনের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
পুলিশ সুত্রে খবর, টিউশন পড়তে যাওয়ার সময় গ্রামেরই একজন তার পথ আটকায়। পরে আরও তিনজন ওই কিশোরীকে অপরহরণ করে এক পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে।
সংবাদমাধ্যমকে মৃতার দাদা জানিয়েছেন, বোনের বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় বাড়ির লোক খুজতে বেরোয়। কোচিং সেন্টার গিয়ে খোঁজ নিলে জানা যায় কিশোরী পড়তেই যায়নি। পরিবার আরও খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একটু রাতের দিকে ছেঁড়া জামাকাপড় ও রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটি বাড়ি ফেরে। কী হয়েছে সে সময় বলার মতো অবস্থায় ছিল না ওই কিশোরী। এরপর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর।
মীরাটের এসপি কেশব কুমার বলেন, ‘গ্রামীণ মীরাটে এক কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে জেলা পুলিশের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁরা। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান বিষ খেয়েই মৃত্যু হয়েছে কিশোরীর। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গণধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজু হয়েছে। একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। তাতে মুল অভিযুক্তের নাম উল্লেখ রয়েছে। এই ঘটনায় দুই জন গ্রেফতার হয়েছে।‘
যদিও আত্মহত্যার তত্ব মানতে নারাজ পরিবার। তাদের দাবি, ‘অভিযুক্তরাই বিষ খাইয়ে মেরেছে কিশোরীকে।‘