Jharkhand: মাওবাদীদের অস্ত্র পাচারের অভিযোগে ঝাড়খণ্ড পুলিশের হাতে ধৃত এক সিআরপিএফ জওয়ান। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড এটিএস-র হাতে ওই জওয়ান অবিনাশ কুমার-সহ তিন জন গ্রেফতার হয়েছেন। বাকি দু'জনের মধ্যে একজন পঙ্কজ সিং, নির্মাণ ঠিকাদার এবং অপর জন ঋষি কুমার। মাওবাদীদের একে-৪৭ এবং ইনসাস রাইফেল পাচারের অভিযোগ রয়েছে এই তিন জনের বিরুদ্ধে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ, অস্ত্র আইন-সহ আইপিসির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
ঝাড়খণ্ড পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৪ থেকে পুলওয়ামায় পোস্টিং অবিনাশের। কিন্তু গত চার মাস ধরে না বাহিনীর কাছে তাঁর কোনও খোঁজ ছিল। তিন জনেই বিহারের বাসিন্দা। তবে কবে এঁদের গ্রেফতার করা হয়ছে, নিরাপত্তার স্বার্থে স্পষ্ট করেনি এটিএস।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, শুধু মাওবাদী নয়, কুখ্যাত মাফিয়া চক্রকেও অস্ত্র পাচার করতেন অভিযুক্তরা। পুলওয়ামা ছাড়াও জাগদলপুর, লাতেহারে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে অভিযুক্ত জওয়ানের।
এদিকে, জাতীয় নিরাপত্তা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে মোদি সরকার। সীমান্তবর্তী এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। এমন এলাকা চিহ্নিত করতে অবিলম্বে জমি অধিগ্রহণের নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব। পাশাপাশি বিএসএফ-র এক্তিয়ার বৃদ্ধিতেও সায় দিয়েছে কেন্দ্র। এই আবহে আন্তর্জাতিক সীমান্ত সন্ত্রাস নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে ফের পাকিস্তানকে তুলোধনা করল ভারত। মঙ্গলবার নয়াদিল্লির প্রতিনিধি সাফ জানিয়েছেন, ইসলামাবাদের উচিত সন্ত্রাস এবং হিংসামুক্ত পরিবেশ তৈরি করে তারপর আলোচনার টেবিলে বসা।
রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি কাজল ভাট নিরাপত্তা পরিষদে জানিয়েছেন, ভারত পাকিস্তান-সহ সমস্ত প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুতবপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখতে চায়। এবং সিমলা চুক্তি এবং লাহোর চুক্তি মেনে দ্বিপাক্ষিক শান্তিপূর্ণ ভাবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
কিন্তু তাঁর দাবি, গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা তখনই চলতে পারে যখন সন্ত্রাস, হিংসামুক্ত এবং প্ররোচনামুক্ত পরিবেশ থাকবে। এবার পাকিস্তানের সদিচ্ছার উপর নির্ভর করছে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করা। ততক্ষণ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সীমান্ত-সন্ত্রাস নিয়ে বলিষ্ঠ এবং দৃঢ় পদক্ষেপ করতে পিছপা হবে না ভারত।
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসলামাবাদের তরফে কাশ্মীর ইস্যুতে সওয়াল উঠতেই পাকিস্তানকে তুলোধনা করেছে ভারত। ভাট বলেছেন, “পাকিস্তানের প্রতিনিধির তরফে কিছু অস্তিত্বহীন কথার প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিতে বাধ্য হচ্ছি। পাকিস্তানের প্রতিনিধির তরফে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে মিথ্যা অপপ্রচারের চেষ্টা এটাই প্রথমবার নয়।”
পাশাপাশি, আফগান-মুলুক তালিবানের দখলে যাওয়ার পর থেকেই সে দেশে মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। ভারত-সহ বিশ্বের একাধিক দেশ আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে রয়েছে। তবে আফগানিস্তানের মাটি কখনই সন্ত্রাসবাদীদের বধ্যভূমিতে পরিণত হতে দেওয়া যাবে না, এব্যাপারে প্রয়োজনীয় সবরকম পদক্ষেপ করা হবে, একজোটে এই বার্তা ভারত ও ফ্রান্সের। ভারতের উদ্যোগে আয়োজিত ‘নো মানি ফর টেরর’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের তৃতীয় সংস্করণের প্রস্তুতির পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশ আফগানিস্তান সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
সম্প্রতি প্যারিসে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ দমনে ভারত-ফ্রান্সের মধ্যে একটি যৌথ বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই আফগানিস্তান ইস্যুতে অত্যন্ত সাবধানী পদক্ষেপে এগোতে একজোট হয়েছে দুই দেশ। লস্কর-এ-তইবা, জইশ-এ-মহম্মদ এবং হিজবুল মুজাহিদিনের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে সন্ত্রাস ছড়াতে যাতে না পারে সেব্যাপারে সব ধরনের পদক্ষেপ করতে তৈরি ভারত-ফ্রান্স। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারত ও ফ্রান্স আফগানিস্তানের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। সীমান্ত পেরিয়ে দুই দেশের ভূখণ্ডে ঢুকে যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ রুখতে প্রয়োজনীয় সবরকম পদক্ষেপ করতে তৈরি দুই বন্ধু দেশ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন