Delhi Riots: দিল্লি কোর্টের নির্দেশের দু’মাস পরেও গড়িমসি। বিচারকের কটাক্ষের মুখে দিল্লি পুলিশ। দিল্লি দাঙ্গায় মুসলিমদের আক্রমণ করতে লাউড স্পিকারের ব্যবহার করা হয়েছিল। উন্মত্ত জনতাকে এই কাজে উসকানো হয়েছিল। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে দিল্লি পুলিশকে এফআইআর দায়ের করে ব্যবস্থা নিতে বলে আদালত। কিন্তু বুধবার শুনানিতে পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে এখনও কোনও গতি আসেনি।
এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিচারক বিনোদ যাদব। তীব্র কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, 'দুঃখিত এটা তো রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। এই অভিযোগের তদন্ত করা উচিত। এটা অনুধাবন করে দিল্লির কমিশনার, দিল্লি পুলিশ কিংবা বিশেষ তদন্তকারী দল কেউই গুরুত্ব দেয়নি।‘
এদিকে, গত বছর উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে দাঙ্গা আচমকা উত্তেজনার ফল ছিল না। বরং এর পিছনে ছিল গভীর ষড়যন্ত্র। পূর্ব-পরিকল্পিত এই ষড়যন্ত্র আইন-শৃঙ্খলার অবনতির জন্যই করা হয়েছিল। সোমবার তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিল্লি হাইকোর্টের। এদিন একটি জামিনের আবেদনের শুনানিতে রায়দানের সময় আদালত জানায়, “হঠাৎ উত্তেজনার জেরে এমনটা হয়নি। প্রতিবাদীদের ভিডিও দেখে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, সরকার এবং সাধারণ জনজীবন বিপর্যস্ত করার জন্যই পরিকল্পনা মাফিক হিংসা ছড়ানো হয়।”
বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ রায়দানের সময় বলেন, “পরিকল্পনা মাফিক সিসিটিভির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া, নষ্ট করে দেওয়া থেকে এটাও সাফ হয়ে গেছে এটা পূর্ব-পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। শহরের আইন-শৃঙ্খলা নষ্ট করার জন্যই করা হয়েছিল দাঙ্গা। এটাও দেখা গিয়েছে, প্রচুর সংখ্যক দাঙ্গাকারীরা লাঠি-সোটা, ব্যাট-হকি স্টিক নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে অশান্তির সৃষ্টি করে। কম সংখ্যক পুলিশ আধিকারিক যা সামাল দিতে হিমশিম খান।”
এদিন এক অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। অভিযুক্তকে গত বছর দিল্লি পুলিশ সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভে শামিল হওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করে। সেই বিক্ষোভ মিছিলেই দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল রতন লালের মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত মহম্মদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিক্ষোভে তলোয়ার উঁচিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল সে। তাঁর আইনজীবীর দাবি, “ইব্রাহিমের তলোয়ার রতন লালের মৃত্যুর কারণ নয়। বরং সেই তলোয়ার নিয়ে নিজের এবং পরিবারের রক্ষা করেছিলেন ইব্রাহিম।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন