Delhi Court Blast: সপ্তাহ দুই আগে ল্যাপটপ ব্যাগ বিস্ফোরণে হইচই পড়ে যায় রোহিণী কোর্ট চত্বরে। দিল্লির অন্যতম জনবহুল এই কোর্টের এজলাসে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যে ধৃত এক। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ডিআরডিও-র গবেষক ভারত ভূষণ কাটারিয়া। এবার পুলিশি হেফাজতে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এই গবেষক। শনিবার রাতে বিষ খেয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন তিনি। পুলিশকর্মীরাই তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে দিল্লি এইমসে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ভারতকে।
কোর্ট এজলাসে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, পড়শিকে খুন করতে কোর্ট এজলাসে বিস্ফোরক রেখেছিলেন অভিযুক্ত। যার উদ্দেশে বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল, সেই ব্যক্তি আইনজীবী। দেশের অন্যতম অভিজাত সংস্থা ডিআরডিও-র এই গবেষকের আত্মহত্যার চেষ্টা প্রসঙ্গে এক পুলিশ কর্তা জানান, তদন্তে সাহায্য করছেন না অভিযুক্ত। প্রতিবার আমাদের ভুল পথে চালনা করছেন। জেলখানার বাথরুমে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তরল কোনও বিষাক্ত তিনি পান করেছিলেন। প্রাথমিক ভাবে আমাদের বলেছিলেন তিনি আত্মহত্যা করতে চান। কিন্তু হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুস্থ হলে তিনি বলেন, বিষাক্ত কিছুই খাননি। যদিও চিকিৎসকদের দাবি, হাত ধোয়ার সাবান খেয়েই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ওই গবেষক। আগামি এক-দুই দিনের মধ্যে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। ফের তাঁকে হেফাজতে নেবে দিল্লি পুলিশ।
এদিকে, কোর্ট এজলাসে বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের সিপি রাকেশ আস্থানা বলেন, ‘আইনজীবীদের পোশাক তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি বিস্ফোরক বানানোর মশলা এবং সামগ্রি তল্লাশিতে উদ্ধার করেছে পুলিশ।জানা গিয়েছে, ভারত এবং তাঁর পড়শি অমিত বশিষ্ট তিন বছর আগে একই আবাসনে থাকতেন। ছাদ ব্যবহার নিয়ে দুই জনের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়। দিন কয়েক আগে কাটারিয়ার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন অমিত। সেই মামলার চার্জ গঠনের দিনেই বিস্ফোরণ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, কাটারিয়ার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হলে, তাঁর কেরিয়ার ধংস হতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই অমিতকে খুনের চেষ্টা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন