অপরিণত হাতে করোনা রোগীকে রেমডেসিভির ইনজেকশন। ব্যাপক সমালোচনার মুখে গুজরাতের এক বিজেপি বিধায়ক। তাঁর এই কীর্তির ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় আসরে নেমেছে কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, কামরেজ বিধানসভার সেই বিধায়ক ভিডি জালাবৈদ্য রবিবার গিয়েছিলেন সুরতের একটি কোভিড নিরাময় কেন্দ্রে। সেখানে গিয়ে এক কোভিড রোগীকে রেমডিসিভির ইঞ্জেকশন দিয়েছেন নিজের হাতে। ওই ওষুধ সিরিঞ্জে ভরার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে।
ওই কোভিড নিরাময়টি খুলেছেন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করা জালাবৈদ্য নিজেই। তাঁর এই কাজ নিয়ে বিতর্ক ছড়াতেই তিনি সাফাই দিয়েছেন, ‘‘আমি কেবল মাত্র সিরিঞ্জে ওষুধ ভরে বোতলে দিয়েছি।’’ দেখুন সেই ভিডিও
তাঁর এই কাজ নিয়ে আক্রমণ করতে ছাড়েনি সে রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্ব। তবে, বিরোধীদের ‘কুৎসার’ জবাবে তিনি বলেছেন, ‘‘আমার সঙ্গে ১৫-২০ জন চিকিৎসক ছিলেন। গত ৪০ দিনে ২০০-র বেশি রোগীকে সুস্থ করে তুলেছি। কংগ্রেস কিছুই করে না। কেউ ভাল কাজ করলে তার শুধু সমালোচনা করে।’ এদিকে, ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণে নয়া নির্দেশ কেন্দ্রের। ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণের জন্য নাম নথিভুক্ত করার নীতিতে পরিবর্তন।এবার থেকে অ্যাপ-এ নাম নথিভুক্তির পাশাপাশি সরাসরি সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়েও টিকা পেতে পারবেন এই বয়সের টিকাপ্রাপকরা। সোমবার প্রকাশিত সরকারি নির্দেশিকায় এ কথা জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওই নির্দেশিকা জানাচ্ছে, আগে থেকে অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করার পরে কোনও ব্যক্তি সময় মতো সরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রে উপস্থিত হতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে তাঁর নামে বরাদ্দ টিকা ‘অব্যবহৃত’ হয়ে থাকছে। সেই টিকা ওই কেন্দ্রে উপস্থিত নাম পোর্টালে নথিভুক্ত না করা ব্যক্তিকে দেওয়া যেতে পারে। সরকারি ওই টিকাকরণ কেন্দ্রে তাৎক্ষণিক ভাবে (ওয়াক-ইন) নয়া টিকা-প্রাপকের নাম নথিভুক্ত করা যাবে বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।