Hyderabad: তিন দিন ধরে নিখোঁজ ফরাসি বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার তেলেঙ্গানার হিমায়েতসাগর এলাকায়। বৃদ্ধাকে খুনের অভিযোগে ধৃত তাঁর দত্তক কন্যা-সহ তিন জন। সাইবারাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম মেরি ক্রিশ্চিন। গত ৩০ বছর ধরে তিনি ভারতের নাগরিক। রাজেন্দ্রনগর জেলাত দরগা খলিজ খান এলাকায় তাঁর একটি স্কুল রয়েছে। আর্তদের শিক্ষাদানে সেই স্কুলে খোলা হয়েছিল। মুলত গরিব পরিবার এবং অনাথ শিশুদের নিয়ে চলত ওই স্কুল।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার থেকে নিখোঁজ মেরির মিসিং ডায়রি সাইবারাবাদ থানায় বৃহস্পতিবার দায়ের হয়েছে। তারপরেই তদন্তে নেমে পুলিশ শনিবার মৃতার দত্তক কন্যা রোমা, বিক্রম শ্রীরামুলা এবং রাহুল গৌতমকে গ্রেফতার করে। রাজেন্দ্রনগর জেলা পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে খুন, চুরি, অপরাধ সংগঠন এবং তথ্য-প্রমাণ লোপাটের ধারায় মামলা রুজু করেছে।
এই খুন প্রসঙ্গে ডিসিপি এন প্রকাশ রেড্ডি বলেন, ‘ওই ফরাসি মহিলার দত্তক কন্যা এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। পুলিশি জেরায় তিনি অপরাধ স্বীকার করেছেন। মেরি মেয়ের জন্য পাত্র খুঁজতে শুরু করায় রোমা এবং বিক্রমের সম্পর্ক সামনে আসে। কিন্তু সেই বৃদ্ধা এই সম্পর্ক মেনে না নিলে রোমা-বিক্রম লিভ-ইন শুরু করেন। তাতেও মা আপত্তি করলে, পথের কাঁটা দূরে সরাতেই এই খুনে পরিকল্পনা।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বুধবার মেরির সঙ্গে দেখা করতে যান রোমা। তারপর দুজনে মিলেই স্কুলে যান। সেই সময় মেরির বাড়িতে ঘুরপথে ঢুকে অপেক্ষা করছিলেন বাকি দুই অভিযুক্ত। মেরি স্কুল থেকে বাড়ি ফিরতেই তাঁকে গলা টিপে খুন করা হয়। এরপর একটি গাড়িতে মৃতদেহ হিমায়েতসাগর জলাধারের পাশের ঝোপে ফেলে আসেন বাঁকি দুই অভিযুক্ত।
তারপর দুই অভিযুক্ত আবার মেরির বাড়ি ফিরে তাঁর গাড়ির চাবি, আইফোন এবং ল্যাপটপ চুরি করে। তারপরের দিন মেরির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে দুই লক্ষ টাকা রোমার অ্যাকাউন্টে হস্তান্তর হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, মৃতার মেয়েকে সন্দেহ করা ছাড়াও ব্যাঙ্ক লেনদেন এবং কল রেকর্ডিং এই রহস্যের জট খুলতে সাহায্য করেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন