ইসলাম আর সন্ত্রাসবাদ সমার্থক। রাজস্থান স্কুল পাঠ্যবইয়ে এমন উল্লেখের জেরে বেজায় বিপাকে রাজ্য পাঠ্যবই পর্ষদ এবং একটি বেসরকারি প্রকাশনা সংস্থা। এই দুটি সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে জয়পুর পুলিশ। পাশাপাশি অলদ জয়পুরের সেই প্রকাশনা সংস্থায় ভাঙচুরের অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫-এ এবং ১২০-বি ধারায় এই এফআইআর দায়ের করেছেন রাজস্থান মুসলিম ফোরামের নেতা মহসিন রশিদ। ঘটনাচক্রে অভিযোগকারী রাজ্যের শাসক দল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের নেতা।
পুলিশ সূত্রে খবর, দ্বাদশ শ্রেণীর সরকারি রাষ্ট্র বিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ের একটা অধ্যায় নিয়ে আপত্তি তুলেছেন মহসিন। ওই অধ্যায়: দুর্নীতি এবং রাজনীতির সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধবাদ। সেই অধ্যায়ের ২৫৭ নম্বর পৃষ্ঠায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ‘এর মধ্যে কোনটা ইসলাম সন্ত্রাসবাদের মুল লক্ষ্য নয়?’ সেখানে চারটি বিকল্প দেওয়া ছিল। যেগুলো এরকম: বিশ্বব্যাপী মুসলিম রাষ্ট্র গড়া, শান্তি স্থাপন, হিংসা ছড়িয়ে পশ্চিমী অমুসলিম রাষ্ট্রের আগ্রাসন রোখা, ইসলামিক আইন আর ভাবধারার প্রসার ঘটানো।
ঠিক এর পরের পাতায় অর্থাৎ ২৫৮ নম্বর পাতায় আরও একটা ছোট প্রশ্ন ছিল। সেই প্রশ্ন ঘিরেও বেড়েছে বিতর্ক। সেই প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছে, ‘ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ নিয়ে তোমার অবস্থান কী?’
জানা গিয়েছে রাজস্থান পাঠ্যবই পর্ষদ এই বই প্রকাশ করেছে। আজমের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাঠ্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই বই।২০১৩-২০১৮ সেই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া। তাঁর আমলেই এই অংশ পাঠ্য বইয়ে জায়গা পেয়েছে। এমনটাই পর্ষদ সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, ড. ভাওয়ার সিং রাঠোর রাষ্ট্র বিজ্ঞানের সহ-অধ্যাপক স্কুল পাঠ্যবইয়ের সিলেবাস কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে এই বিষয় তালিকাভুক্ত করতে অনুমোদন দিয়েছিলেন।
জানা গিয়েছে, রাঠোর-সহ অত্যন্ত এক ডজন অধ্যাপক ও শিক্ষকের নামে এফআইআর দায়ের হয়েছে।