উত্তরপ্রদেশের শামলিতে কোভিড টিকার বদলে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগ উঠলো। এই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধা সরোজ। একইভাবে গাফিলতির অভিযোগ অপর দুই বৃদ্ধা আনারকলি এবং সত্যবতীর পরিবারের। বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে সরব স্থানীয়রা।
কী ভাবে এমন সম্ভব হল? এ প্রসঙ্গে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমও) সঞ্জয় আগরওয়াল জানিয়েছেন, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুই তলায় টিকাকরণ কর্মসূচি চলছিল। তার মধ্যে একটিতে কোভিডের টিকা দেওয়া হচ্ছিল। অন্যটিতে চলছিল জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া কাজ। কী ভাবে এই ভুল হল তা তদন্ত করা হচ্ছে। এই ঘটনায় কারও গাফিলতি ছিল কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিএমও।
জেলাশাসক জসজিৎ কউর বলেন, ‘গোটা ঘটনার তদন্ত করা হবে। যদি কোনও আধিকারিকের গাফিলতি প্রমাণিত হয়, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।‘
এদিকে, ত দিন এগোচ্ছে, ততই করোনা যেন গ্রাস করছে দেশকে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাতে প্রতিদিন বাড়ছে সংক্রমণের গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৩৮৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭৯৪ জনের। যা রেকর্ড তৈরি করেছে দেশে।
করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষের গন্ডি পেরিয়েছে। কিন্তু প্রথম পর্যায়ে এত আক্রান্ত হয়নি যত আক্রান্ত হচ্ছে দ্বিতীয় পর্যায়ের করোনা হানায়। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৩২ লক্ষ ৫ হাজার ৯২৬ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ১৯ লক্ষ ৯০ হাজার ৮৫৯ জন। আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার অনেকটাই কম।
দেশে এখন অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১০ লক্ষ ৪৬ হাজার ৬৩১। এখনও পর্যন্ত দেশে মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৪৩৬ জনের। সবচেয়ে চিন্তার পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে । গত ১৫ দিনে মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ রীতিমতো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এদিকে, শনিবারই রাষ্ট্রীয় সমাজসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবতের করোনা আক্রান্তের খবর জানা গিয়েছে।
কলকাতাও চিন্তা বৃদ্ধি করেছে। নির্বাচনী রাজ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে কোভিড। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরে এক লাফে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৯৮৭ হয়েছে। সংক্রমিত ও মৃতের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে রাজ্যে।